নিজস্ব চিত্র
আসানসোলের ডিআরএমের পরিচয়ে ফোন করে লক্ষাধিক টাকার জালিয়াতি। অভিযোগে হাওড়া থেকে গ্রেফতার এক ব্যক্তি। যদিও ঘটনার সূত্রপাত আসানসোলেই।
আসানসোলের মাস মার্কেটিং নামে একটি সংস্থা অভিযোগ করে, মে মাসের শুরুর দিক থেকে আসানসোল ডিআরএম পরিচয়ে এক ব্যক্তি একাধিকবার ফোন করেন। ফোনে সংস্থাকে আসানসোল ডিআরএম অফিসে এসি, এলইডি টিভি সরবরাহের কথা বলেন। সেই সূত্রে একটি দরপত্র আহ্বান করা হয় সংস্থার থেকে। সেই বিষয়ে টেন্ডার জমা দেওয়ার জন্য ওই সংস্থার তরফে টাকা জমা দেওয়া হয় নির্দিষ্ট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। পার্ক স্ট্রিটের একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের শাখার সেই অ্যাকাউন্ট নম্বরে টাকা পাঠিয়ে দেন মাস মার্কেটি সংস্থার মালিক। একাধিক ধাপে মোট ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা জমা করেন তিনি। এর পর ১০ মে আসানসোল ডিআরএম অফিসে আগাম অর্ডার নিতে আসেন প্রতারিত। সেখানে এসে বুঝতে পারেন, সবটাই ভুয়ো। ডিআরএমের নামে কেউ ফোন করে প্রতারণা করেছে তাঁকে। ওই ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন, আসানসোল (দক্ষিণ) থানায়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে তদন্ত শুরু করে আরপিএফ, এসটিএফ ও আসানসোল পুলিশ।
প্রাথমিক তদন্তের পর জানা যায়, প্রতারকের নাম সৌম্য সিংহ। হাওড়ার চ্যাটার্জি হাটের বাসিন্দা তিনি। তদন্ত করে দেখা যায়, সৌম্যের মোট তিনটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ছিল। সেই তিনটি অ্যাকাউন্ট থেকে শেষ কয়েকদিনে ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা তুলেও নেওয়া হয়েছে। এরপরে ওই প্রতারকের সন্ধান শুরু করে পুলিশ। দেখা যায়, হাওড়ার নাজিরগঞ্জ থানা এলাকার একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া রয়েছেন তিনি। স্থানীয় থানার সাহায্যে সেখানে রবিবার তল্লাশি চালায় পুলিশ, গ্রেফতার করে অভিযুক্তকে।
পুলিশ জানিয়েছে, জেরায় অভিযুক্ত অপরাধ স্বীকার করেছেন। তাঁর সহযোগী অনিন্দ্য দে জানিয়েছেন, একাধিক ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে ভুয়ো তথ্য দিয়ে টাকা দিতে বলা হত অনেক ব্যবসায়ীকে। শেষ কয়েকদিনে পাওয়া সেই টাকা তুলেও নেওয়া হয়েছে। পুলিশ এরপর তদন্ত করে আরও জানতে পারে, গুয়াহাটি সদর থানা-সহ একাধিক থানা এলাকায় এর আগেও এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন অভিযুক্ত। হাওড়া থেকে গ্রেফতারির পর অভিযুক্তকে আসানসোল দক্ষিণ থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।