কাটোয়া পুরসভা।
চলতি বছরের ১৯ অগস্ট কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের আর্থিক সহযোগিতায় কাটোয়া পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে কাশিগঞ্জপাড়ায় তৈরি হয় ‘ঠিকানা’। ওই ভবনে ৫০ জন ভবঘুরেকে স্থায়ী ভাবে রাখার বন্দোবস্ত করা হয়। কিন্তু কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, সম্প্রতি ভরণপোষণের জন্য বরাদ্দে কাটছাঁট করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ফলে সমস্যা হচ্ছে। পুরসভা সূত্রে জানা যায়, দু’একর জমির উপরে এক কোটি ৪০ লাখ টাকা খরচে ওই চারতলা ভবনটি তৈরি হয়। সেখানে এই মুহূর্তে রয়েছেন ন’জন মহিলা, চার জন শিশু-সহ ৩৩ জন ভবঘুরে। তাঁদের দিন-রাতে খাবার দেওয়া-সহ যাবতীয় দেখভাল করা হয়।
পুরসভার দাবি, এই প্রকল্পের প্রাথমিক শর্ত ছিল ঠাঁই পাওয়া ভবঘুরেদের পাঁচ বছরের ভরণপোষণের সম্পূর্ণ দায়িত্ব বহন করবে কেন্দ্রীয় সরকারের ‘ন্যাশনাল আরবান লাইভলিহুড মিশন’ প্রকল্প। পাশাপাশি, ভবনের পরিকাঠামো, ভবঘুরেদের চিকিৎসা, পোশাক-সহ অন্য খরচ রাজ্য সরকার বহন করবে। ওই কেন্দ্রীয় প্রকল্পের মাধ্যমে অর্থ সাহায্য দেওয়া শুরুও হয়েছিল।
কিন্তু পুরসভার অভিযোগ, সম্প্রতি তাদের চিঠি দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, ভরণপোষণের খরচের ১০ শতাংশ খরচ বহন করা হবে। এই পরিস্থিতিতে বাকি খরচের জন্য পুরসভা বিভিন্ন সংস্থা, সংগঠনের কাছে আর্জি জানায়। রবিবার ভবঘুরেদের খাবার দিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অফিসার্স সংগঠনের কাটোয়া শাখা। পাশাপাশি, ওই সংগঠনের তরফে আগামী এক সপ্তাহের খাবারের জন্য আর্থিক সাহায্যও করা হয় পুরসভাকে।
কাটোয়ার বিধায়ক তথা কাটোয়া পুরসভার পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দিন কয়েক আগে কেন্দ্রীয় সরকার মোটে ১০ শতাংশ বরাদ্দ দেবে বলে জানিয়েছে। ফলে, বিভিন্ন সংগঠন পাশে পাওয়া গেলে তবেই এই উদ্যোগ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।’’ এ দিন ব্যাঙ্ক অফিসার্স সংগঠনটির তরফে সৌমেনকান্তি মণ্ডলও জানান, তাঁদের ব্যাঙ্কের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে আরও সাহায্য মেলে কি না, সে বিষয়ে আর্জি জানানো হবে।