ছবি: সংগৃহীত
রাষ্ট্রায়ত্ত স্টিল প্ল্যান্ট লাগোয়া এলাকার আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতির উন্নয়নের উদ্দেশ্যে সংলগ্ন ইস্পাত অনুসারী ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প-কারখানাগুলির উন্নতিতে সহযোগিতা করবে কেন্দ্রীয় ইস্পাত মন্ত্রক। ২০১৮-এ চালু হওয়া দেশের পূর্বাঞ্চলের বিকাশের জন্য নেওয়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘মিশন পূর্বোদয়া’ প্রকল্পের অধীনে এই উদ্যোগ, এমনটাই জানিয়েছে মন্ত্রক।
ইস্পাতমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান গত ১১ জানুয়ারি কলকাতায় সিআইআই-এর সম্মেলনে ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, বিহার, ছত্তীসগঢ়, পশ্চিমবঙ্গ এবং উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশকে নিয়ে পূর্ব ভারতে ‘ইন্টিগ্রেটেড স্টিল হাব’ তৈরি করা হবে বলে জানান। উৎপাদনের পরিমাণ ও গুণমান দু-ই বাড়িয়ে ইস্পাত উৎপাদক কারখানাগুলির মধ্যে প্রতিযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আয় বাড়ানোই হচ্ছে এই পরিকল্পনার উদ্দেশ্য। এর আগে ইস্পাত মন্ত্রকের পক্ষ থেকে দেশে ইস্পাতের চাহিদা বাড়ানোর জন্য ‘ইস্পাতি ইরাদা’ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছিল।
মন্ত্রক সূত্রে যে যে পরিকল্পনার কথা জানা গিয়েছে—
প্রথমত, ভিলাই, রৌরকিলা, বোকারো, দুর্গাপুর ও বার্নপুর, এই পাঁচ রাষ্ট্রায়ত্ত স্টিল প্ল্যান্ট লাগোয়া এলাকার ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উন্নয়নের জন্য বিশেষ ‘ইনসেনটিভ’ প্রকল্প নেবে। দ্বিতীয়ত, যে জেলায় এই কারখানাগুলি অবস্থিত সেখানকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন করা হবে। তৃতীয়ত, স্থানীয় শিল্পের উন্নয়নের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ানো, পুরনো শিল্প-কারখানাগুলিকে উৎসাহ দেওয়া, নতুন শিল্প-কারখানা গড়ে তুলতে উৎসাহ দেওয়া প্রভৃতি কাজ করা হবে। চতুর্থত, ওই সব কারখানার উৎপাদিত পণ্য এবং প্রধান কাঁচামাল রাখার ব্যবস্থা করবে ‘সেল’ (স্টিল অথরিটি অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড)। ফলে, ওই কারখানাগুলির খরচ বাঁচবে। পঞ্চমত, পণ্যের দামের ক্ষেত্রেও বিশেষ সুবিধা দেওয়া হবে। ষষ্ঠত, এ ছাড়া অন্য ক্ষেত্রে ছাড়, সুদ ছাড়া ধার-সহ নানা সুবিধা দেওয়ার জন্য ওই সব সংস্থাগুলির সঙ্গে বার্ষিক মৌ সই হবে। সপ্তমত, ‘স্কিল ডেেভলপমেন্ট’-সহ নানা ক্ষেত্রে সহযোগিতা করবে রাষ্ট্রায়ত্ত স্টিল প্ল্যান্টগুলি।
দুর্গাপুরে ডিএসপি থাকায় এখানে ইস্পাত অনুসারী শিল্পের রমরমা রয়েছে বলে মত স্থানীয় শিল্পোদ্যোগীদের। ‘দুর্গাপুর স্মল স্কেল ইন্ডাস্ট্রিজ় অ্যাসোসিয়েশন’-এর কর্তা কৃপাল সিংহ বলেন, ‘‘এমন উদ্যোগ যদি সত্যিই বাস্তবায়িত হয়, তা হলে নিশ্চিত ভাবেই এলাকার এবং শিল্পের অনেক উপকার হবে। এখন দেখার, কতটা কী হয়।’’