বিকাশ মিশ্র। নিজস্ব চিত্র।
গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত বিকাশ মিশ্রকে ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দিল আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত। বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীর এজলাসে মামলাটি চলছে। পাশাপাশি, আইনজীবীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বিচারক তাঁর নির্দেশে জানিয়েছেন, জেলে থাকাকালীন বিকাশকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে সিবিআই।
শুক্রবার গরু পাচার মামলার শুনানিতে বিকাশকে বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হয়। শুরুতেই অভিযুক্তের আইনজীবীরা তাঁর জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু জামিনের বিরোধিতা করেন সিবিআইয়ের আইনজীবী রাকেশ কুমার। তিনি আদালতে জানান, বিকাশ হেফাজতে থাকাকালীন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই অনেক তথ্য পেয়েছে। আরও বহু তথ্যানুসন্ধানের চেষ্টা চলছে। ফলে, তিনি জামিন পেলে, তথ্য লোপাটের আশঙ্কা রয়েছে।
শুনানি পর্বে সিবিআই বিচারকের কাছে জানায়, গরু পাচার মামলায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের জন্য জেলে গিয়ে বিকাশকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। বিচারকের কাছে সে অনুমতিও চাওয়া হয় সিবিআইয়ের তরফে। আইনজীবীরা জানান, দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী অভিযুক্তকে ফের ২০ মে পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। সে সঙ্গে, সিবিআইয়ের আর্জি মেনে বিকাশকে জেলে গিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেওয়া হয়।
এ দিকে, বিকাশের আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজ বলেন, “আমরা মক্কেলের জামিন চেয়েছিলাম। বিচারক তা বাতিল করে জেল হাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ২০মে কয়লা চুরি মামলারও শুনানি হবে। সে দিন ওই মামলাতেও ফের জামিনের আবেদন করা হবে।”
ঘটনাচক্রে, কয়লা ‘চুরিতে’ অভিযুক্ত বিকাশ তাদের হেফাজতে থাকাকালীনই তাঁর বিরুদ্ধে গরু পাচারের অভিযোগও এনেছিল সিবিআই। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, গত দশ বছরে বিকাশ প্রচুর টাকার মালিক হয়েছেন। কলকাতায় তাঁর একটি প্রাসাদোপম বাড়ি, অগাধ সম্পত্তি, আসানসোল-দুর্গাপুরে প্রচুর জমিরও সন্ধান মিলেছে। একাধিক সংস্থায় ডিরেক্টর পদেও তাঁর নাম রয়েছে। তাঁর মাধ্যমে হাজার কোটি টাকার অবৈধ লেনদেনের হদিস পেয়েছে ফলে দাবি সিবিআইয়ের। এই টাকা কোথায়, কখন, কী ভাবে এবং কাদের দেওয়া হয়েছে, সে সব হেফাজতে থাকাকালীন জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে বলে সিবিআইয়ের একটি সূত্রের দাবি।