অনুব্রতকে আবার সংশোধনাগারে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআই-র। —ফাইল চিত্র।
গরু পাচার মামলায় আবার বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা করতে আসানসোল জেলে গেলেন সিবিআই আধিকারিকরা। শনিবার অনুব্রতকে জেরা করতে আসানসোল সংশোধনাগারে যান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দুই আধিকারিক সুশান্ত ভট্টাচার্য এবং তাঁর এক সহযোগী। শনিবার সন্ধ্যা পৌনে পাঁচটা নাগাদ ওই দুই অধিকারী সংশোধনাগারে প্রবেশ করেছেন বলে খবর। অন্য দিকে, শনিবারই অনুব্রতের ৩ আইনজীবীও আসানসোল সংশোধনাগারে গিয়ে তৃণমূল নেতার সঙ্গে কথা বলেন। তবে কেষ্টর সঙ্গে কী কী কথা হয়েছে, তা জানা যায়নি।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার অনুব্রতকে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তবে তৃণমূল নেতা অ্যারেস্ট মেমোয় সই করেননি বলেই জানা গিয়েছে। এর পর আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে না গিয়ে সোজা দিল্লি চলে যান ইডির আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে অনুব্রতের কাছ থেকে পাওয়া সমস্ত তথ্যের বিবরণ বয়ান আকারে দিল্লিতে ইডির আদালতে জমা দেবেন ওই আধিকারিকরা। ওই তথ্যের ভিত্তিতে ইডির আইনজীবী দিল্লি আদালতের বিচারকের কাছে অনুব্রতকে সেখানে নিয়ে গিয়ে জেরা করার আবেদন জানাবেন। যদি আদালত মনে করে, তবে ‘প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট’ দিতে পারে। না হলে আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতেই শুনানির নির্দেশ দিতে পারে।
অনুব্রতের প্রাক্তন দেহরক্ষী সহগল হোসেনের ক্ষেত্রেও এই ধরনের আইনি জটিলতার সৃষ্টি হয়। পরে দিল্লি আদালত তাঁর বিরুদ্ধে ‘প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট’ জারি করলে আসানসোল সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ গত ২১ অক্টোবর তাঁকে দিল্লি আদালতে হাজির করেন। মনে করা হচ্ছে, অনুব্রতের ক্ষেত্রেও সেই পথে যাচ্ছে ইডি।
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, লটারি-কাণ্ড নিয়েও অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তিনি প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়েছেন। সিবিআই যে ১৮ কোটি টাকার নগদ লেনদেনের হিসাব পেয়েছে, সে বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি কোনও উত্তর দেননি বলে খবর। তবে শনিবার সিবিআই কী নিয়ে অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে, তা জানা যায়নি।
প্রসঙ্গত, গত ১১ অগস্ট গরু পাচার মামলায় সিবিআই-র হাতে গ্রেফতার হন অনুব্রত।