দেওয়াল লিখছেন অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়। (নীচে) প্রচারে চৈতালি তিওয়ারি। রবিবার আসানসোলে। নিজস্ব চিত্র
পুরভোট ঘোষণার পরেই, এ দিন ছিল প্রথম রবিবাসরীয় প্রচার। নামলেন শাসক-বিরোধী দু’পক্ষের প্রার্থীরাই। প্রত্যেকেরই দাবি, প্রচারে বেরিয়ে ভোটারদের সমর্থন পেয়েছেন। ভরসা দেন, সুযোগ পেলে তাঁরা এলাকায় নাগরিক সমস্যার সমাধানও করবেন।
আজ, সোমবার মনোনয়নপত্র তোলা বা জমা করার শেষ দিন। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূল, বিজেপি, বাম ও কংগ্রেসের সকলেই এ দিন মনোনয়নপত্র জমা করবেন। প্রার্থীরা বেশির ভাগই জানিয়েছেন, সোমবার মনোনয়ন জমা করার পরেই, তাঁরা ভোটের জোর প্রচার শুরু করবেন।
তবে, রবিবার কয়েক জনকে প্রচার করতে দেখা গেল। ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রার্থী, প্রাক্তন পুর-প্রশাসক অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় আসানসোল বাজার এলাকায় দেওয়াল লিখে প্রচার শুরু করেন। লিখন শেষে তিনি স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপচারিতা করেন। অমরনাথ ও তাঁর সঙ্গে থাকা কর্মী-সমর্থকদের মুখে মাস্ক দেখা যায়নি। অমরনাথের দাবি, গত বোর্ডের কাজ দেখে ভোটাররা এ বারও তাঁদের সমর্থন জানাবেন।
এ দিন থেকেই ভোটের প্রচার শুরু করেছেন ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী তথা আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রী চৈতালি তিওয়ারি। রেলপাড়ের রামকৃষ্ণডাঙাল অঞ্চলে বাড়ি বাড়ি প্রচার করেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন দলের নেতা-কর্মীরা। উপস্থিত অনেকের মুখে মাস্ক ছিল না। নাগরিকদের সঙ্গে কথা বলার ফাঁকে প্রার্থীর মাস্কও তাঁর থুতনিতে ঝুলতে দেখা গিয়েছে। মাঝে মাস্ক পুরো খুলে ফেলেন তিনি। জেতার বিষয়ে আশাবাদী চৈতালি বলেন, “ভোটারদের বিপুল সাড়া পাচ্ছি। জেতার বিষয়ে আমি একশো শতাংশ আশাবাদী।”
পাশাপাশি, এই ওয়ার্ডের বিদায়ী তৃণমূল কাউন্সিলরকে নিয়ে তাঁর কোনও অভিযোগ নেই বলে জানান চৈতালি। তবুও তাঁর দাবি, সামান্য বৃষ্টিতেই এলাকা ভেসে যায়। বছরের পর বছর ধরে চলা, এই সমস্যার সমাধান করতে পারেননি পূর্বসুরীরা। আগামী দিনে তিনি সুযোগ পেলে, এই সমস্যার সমাধান করবেন।
মাস্ক প্রসঙ্গে চৈতালি ও অমরনাথের দাবি, “কথা বলতে যখন অসুবিধা হচ্ছিল, তখন মাস্ক সরিয়ে নিই। দ্রুত পরেও ফেলি। সকলকে সচেতন থাকার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।”
ভোটের প্রচারে নামেন ৬০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী ইন্দ্রাণী মিশ্র। ভোট ঘোষণার দিন-দুই আগে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন এই সর্বভারতীয় মহিলা কংগ্রেস নেত্রী। এ দিন ইন্দ্রাণী দাবি করেন বলেন, “আমি তৃণমূলের একনিষ্ঠ কর্মী। সুযোগ পেলে অতীতের যাবতীয় সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব।” সদ্য দলে যোগ দেওয়া ইন্দ্রাণীকে প্রার্থী করায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন তৃণমূলের একাংশ নেতা-কর্মী। নির্দল হয়ে ভোট লড়ার হুঙ্কার দিয়েছেন বিদায়ী তৃণমূল কাউন্সিলর অনিতা সাও। এই পরিস্থিতিতে তিনি জেতার বিষয়ে একশো শতাংশ নিশ্চিত বলে দাবি করেছেন ইন্দ্রাণী।