টাউন হল চত্বরে সভা। শনিবার। নিজস্ব চিত্র।
কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ করে ১২ ঘণ্টা অবস্থান-বিক্ষোভের ডাক দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। শনিবার বর্ধমানের টাউন হলে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের একটি সভায় এসে রাজ্যের গ্রন্থাগারমন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে কৃষি আইন নিয়ে হুঁশিয়ারি দেন।
এ দিন সিদ্দিকুল্লার দাবি, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার যদি কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নেয় তো ভাল, তা না হলে ১৩ জানুয়ারি পূর্ব বর্ধমানের গলসি থেকে পারাজের মধ্যে কোনও জায়গায় ২ নম্বর জাতীয় সড়কে ১২ ঘণ্টার অবস্থান-বিক্ষোভ করা হবে। বিহার বা ঝাড়খণ্ডে এই কর্মসূচি করা যেত। কিন্তু সেখানে আমাদের সরকার নেই। তাই গলসিতে এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।’’ সংগঠনের সদস্যদের তাঁর পরামর্শ, ‘‘সকলে ওই দিন চাল, ডাল, আলু, আনাজ সঙ্গে করে নিয়ে আসবেন। ওখানে বসে রান্না করে এক সঙ্গে খাওয়া হবে।’’ সে দিন দিল্লির কোনও গাড়ি কলকাতায় ঢুকতে দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি তাঁর।
জাতীয় সড়ক অবরোধ করা আইন-বিরুদ্ধ। সে বিষয়ে মন্ত্রীর দাবি, ‘‘দিল্লির সরকার যখন আইন মানছে না, সংবিধান না মেনে জোর করে সারা দেশে কৃষক-বিরোধী আইন চাপিয়ে দিচ্ছে, তাই আমরাও জাতীয় সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদে শামিল হব।’’ বিজেপির জেলা সাংগঠনিক (বর্ধমান সদর) সভাপতি সন্দীপ নন্দীর পাল্টা দাবি, ‘‘কোনও বিষয়ে ভিন্ন মত থাকতে পারে। তবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলন করা উচিত। রাজ্যের এক মন্ত্রী কী ভাবে মানুষের অসুবিধা তৈরি করে জাতীয় সড়ক অবরোধের ডাক দিতে পারেন, বুঝতে পারছি না। এ রকম অসুবিধা তৈরি করলে মানুষই জবাব দেবেন।’’