কৃষ্ণ প্রসাদকে উত্তরীয় পরিয়ে দিচ্ছেন দিলীপ ঘোষ। নিজস্ব চিত্র
বিজেপি-তে যোগ দিলেন আসানসোলের তৃণমূল ঘনিষ্ঠ কৃষ্ণ প্রসাদ। মঙ্গলবার তারাপীঠে বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডার উপস্থিতিতে কৃষ্ণকে দলীয় প্রতীক আঁকা উত্তরীয় পরিয়ে দেন দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
পেশায় ব্যবসায়ী কৃষ্ণ আসানসোলের কল্লার বাসিন্দা। এলাকায় সমাজসেবী হিসাবে তাঁর পরিচিতি। তবে লকডাউন পর্বে উঠে বার বার শিরোনামে আসে তাঁর নাম। সে সময় আসানসোলে ভিন্ন ‘অবতারে’ দেখা যায় কৃষ্ণকে। একাধিক শিবিরের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মধ্যে খাবার, আনাজ, শাড়ি, কম্বল ইত্যাদি বিলিবণ্টন করেন তিনি। আসানসোলবাসীর একাংশের বক্তব্য, লকডাউনের সময় ‘দানবীর’ ভূমিকায় দেখা গিয়েছে কৃষ্ণকে। সেই সূত্রে মলয় এবং জিতেন্দ্র দু’জনের সঙ্গেই বহু বার এক মঞ্চে দেখা গিয়েছে তাঁকে। সেই কৃষ্ণই মঙ্গলবার যোগ দিলেন বিজেপি-তে।
আসানসোল তৃণমূলের একাংশের দাবি, কিছু দিন আগে একটি ক্লাব নির্মাণ নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটকের অনুগামীদের সঙ্গে অশান্তি বাধে কৃষ্ণর। সেই বিবাদ গড়ায় আসানসোল উত্তর থানা পর্যন্ত। ইতিহাস ঘেঁটে অনেকেই বলছেন, সেই সময় মলয়ের বিরুদ্ধে কৃষ্ণ ক্ষোভ উগরে দেন। যদিও পরে বিষয়টি ‘মধুরেণ সমাপয়েৎ’ হয়। জোড়াফুল শিবিরের একাংশের দাবি, দ্বন্দ্ব ভুলে বহু বার বহুবার এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মলয় এবং কৃষ্ণ।
মঙ্গলবার দুপুর ১টারও পরে অণ্ডাল বিমানবন্দরে নামেন নড্ডা। সেখানে তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে হাজির ছিলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি। ছিলেন কর্মী-সমর্থকদের একাংশও। সেই ভিড়ে অবশ্য এ দিন কৃষ্ণকে দেখা যায়নি। বরং তার আগে তিনি পৌঁছে যান তারাপীঠে। সেখানে মন্দিরে পুজো দেন নড্ডা। এর পর চিল্লার ব্রিজ এলাকায় জনসভায় যোগ দেন। সেই মঞ্চেই গেরুয়াশিবিরে নাম লেখালেন কৃষ্ণ। কৃষ্ণের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা নিয়ে জিতেন্দ্রর মন্তব্য, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যিনি নেই তাঁর সঙ্গে কোনও ঘনিষ্ঠতা থাকতেই পারে না।’’
পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘কৃষ্ণকে তৃণমূলের অনেক মঞ্চে দেখা গিয়েছে বটে। তবে উনি দলে কবে এসেছেন বা কবে চলে গিয়েছেন সেই বিষয়ে আমার জানা নেই। ওঁর সঙ্গে কারও ঘনিষ্ঠতা ছিল কি না তা-ও জানি না।’’