নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গেল যাত্রিবোঝাই বাস। —নিজস্ব চিত্র।
দ্রুত গতিতে যাওয়ার সময়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গেল একটি যাত্রিবোঝাই বেসরকারি বাস। মঙ্গলবার রাতে ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের নতুনগ্রামে। বাসটির গতি এতটাই বেশি ছিল যে, ডিভিসির একটি ২০ ফুটের সেচখাল টপকে গিয়ে বাসটি উল্টে যায়। দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ৪৫ জন জখম হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, কলকাতা-কান্দি-বহরমপুর রুটের বেসরকারি বাসটি বাদশাহি রোড ধরে কান্দি অভিমুখে যাচ্ছিল। নতুনগ্রাম পেট্রোল পাম্পের সামনে ডিভিসির সেচখালের উপর নির্মিত একটি সেতুর কাছে বাসটি আচমকা নিয়ন্ত্রণ হারায় এবং রাস্তার ধারের একটি বিদ্যুৎ খুঁটিতে ধাক্কা মারে। এর পর বাসটি সেচখাল পেরিয়ে উল্টে যায়। রাত ৯টা ৪৫ মিনিট নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে খবর। দুর্ঘটনার পরেই বাসের যাত্রীদের উদ্ধার করার জন্য ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ভাতাড় থানার পুলিশ। আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ভাতার গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়ে। যাত্রীদের মধ্যে গুরুতর আহতদের পরে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। আপাতত সেখানেই তাঁদের চিকিৎসা চলেছে। কিন্তু কেন ঘটল এই দুর্ঘটনা? পুলিশ এবং স্থানীয়দের প্রাথমিক অনুমান, বাসের চালক কোনও কারণে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। যার ফলে বাসটি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় এবং এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। জানা গিয়েছে, বাসযাত্রীদের মধ্যে অধিকাংশেরই বাড়ি মুর্শিদাবাদে।
স্থানীয় বাসিন্দা সম্রাট পাল বলেন, “বেপরোয়া গতির কারণেই বাসটি ২০ ফুটের সেচখাল টপকে যায়। বাসটি সেচখালের জলে না পড়ে টপকে যাওয়ার ফলেই যাত্রীরা প্রাণে বেঁচে যান।” পূর্ব বর্ধমানের জেলা পুলিশ সুপার আমন দীপ বলেন, “এখনও পর্যন্ত বাস থেকে ৩৭ জন যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৪ জনকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।”