ভাতারে বাসের সংঘর্ষ। নিজস্ব চিত্র।
ঘন কুয়াশার কারণে সাতসকালে বড় দুর্ঘটনা পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে। বৃহস্পতিবার বর্ধমান-কাটোয়া রোডের ভাতারের বেলেণ্ডা পুলের কাছে দু’টি যাত্রীবোঝাই বেসরকারি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। দুর্ঘটনায় ৩০ জন যাত্রী জখম হন। এঁদের মধ্যে ৬ জনের অবস্থা গুরুতর। জখমদের উদ্ধার করে প্রথমে ভাতার গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে কয়েকজন গুরুতর জখম যাত্রীকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়।
দুর্ভোগের এতেই শেষ নয়। বর্ধমানগামী বাসের পিছনে আবার একটি ক্যান্টার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে। এর ফলে চালক বাসটির মধ্যে ঘণ্টা খানেক আটকে থাকেন। দুর্ঘটনার পর প্রথমে স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধারের কাজে হাত লাগান। পরে খবর পেয়ে ভাতার থানার পুলিশ দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। যাত্রী ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ঘন কুয়াশায় দৃশ্যমানতা একেবারে কমে গিয়েছে। ফলে কাছের জিনিসও ঠিক মতো দেখা যাচ্ছে না। তার জন্যই বৃহস্পতিবার দু’টি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, বাসের গতি তুলনামূলক কম ছিল। না হলে আরও বড় বিপদ হতে পারত।
কাটোয়া থেকে বাসে বর্ধমান যাচ্ছিলেন হাফিজুল শেখ। তিনিও দুর্ঘটনায় জখম হন। বলেন ‘‘বাসটি ধীর গতিতে চলছিল। কিন্তু হঠাৎই দেখি বিকট শব্দ। বাসটা পুরো নড়ে যায়। এত কুয়াশা যে সামনের কোনও জিনিস ভাল করে দেখা যাচ্ছে না। বাসের হেডলাইট জ্বলেও তা বোঝা যাচ্ছে না। তার জন্যই দুর্ঘটনা ঘটে।’’ আর এক যাত্রী শুভদীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বাসের গতি বেশি থাকলে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটত। অনেক প্রাণহানি হত।’’
টানা চারদিন ধরে সকালে ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়ছে দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলির মতো পূর্ব বর্ধমান জেলাও। দৃশ্যমানতা কম থাকায় সমস্যা হচ্ছে যান চলাচলেও।