এমনই হাল বর্ধমান-কাটোয়া রোডের। নিজস্ব চিত্র
এক ঝটকায় দেখলে রাস্তা না জলাশয় বোঝা দায়। তার মাঝেই চলেছে গাড়ি। এমনই হাল বর্ধমান-কাটোয়া রোডের বিস্তীর্ণ এলাকার।
বর্ধমান স্টেশনের ওভারব্রিজ পেরোলেই বাঁ দিকে চলে গিয়েছে এই রাস্তাটি। কাটোয়ার পাশাপাশি, নবদ্বীপ, এমনকি মালদহ-সহ উত্তরবঙ্গের সঙ্গে বর্ধমানের অন্যতম যোগসূত্র এই রাস্তা। কলকাতা থেকে দার্জিলিংগামী অনেক বাসও এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে। তা ছাড়া, কাটোয়া, খেতিয়া, ভাতার এবং মুর্শিদাবাদের নানা এলাকা থেকে এই রাস্তা ধরেই রোগীদের নিয়ে বর্ধমান মেডিক্যালে আসে নানা গাড়ি, অ্যাম্বুল্যান্স।
কিন্তু এই রাস্তা নিয়ে সমস্যার অন্ত নেই বলে অভিযোগ। গাড়ির চালকেরা জানান, বাজেপ্রতাপপুর মোড় থেকে দেওয়ানদিঘি পর্যন্ত রাস্তায় রয়েছে খন্দ। সাবজোলাপুল, বিজয়রাম, হাটুদেওয়ান, ভোতারপাড়-সহ নানা এলাকায় রাস্তা জুড়ে তৈরি হয়েছে গর্ত। সব থেকে খারাপ হাল বিজয়রাম এলাকার। এলাকাবাসী জানান, রাস্তায় হাঁটু সমান গর্ত জলে ভর্তি। এই রাস্তা দিয়েই চলাচল করে বাস, ট্রাক, গাড়ি, টোটো। আবার, নেড়োদিঘি, হাটুদেওয়ান এলাকা থেকে রাস্তার মাঝখানের অংশ ঠিক আছে। কিন্তু দু’ধার ভেঙে গিয়েছে। ভোতারপাড় পেট্রল এলাকাতেও রাস্তার পিচ উঠে গিয়েছে।
রাস্তায় পথবাতি না থাকায় যাতায়াত আরও সমস্যার হয়েছে। রাতে ভরসা বলতে গাড়ির হেডলাইট আর আশপাশের দোকান থেকে আসা ক্ষীণ আলো। সন্ধ্যা গড়াতে দোকানপাট বন্ধ হলে রাস্তায় যাতায়াত করা সমস্যার হয়।
এই পরিস্থিতিতে রাস্তায় প্রায়ই ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে বলে এলাকাবাসী জানান। স্থানীয় বাসিন্দা মৌসুমি মণ্ডল, সিরাজ আলি মোল্লাদের বক্তব্য, ‘‘কিছু দিন আগে রাস্তায় তাপ্পি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সে সব উঠে গিয়ে ফের রাস্তা বেহাল। খুবই সমস্যা হয় এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে।’’ টোটো নিয়ে যাতায়াত করা শেখ রাজু, ইনতাজ শেখদের বক্তব্য, ‘‘এই রাস্তা দিয়ে টোটো নিয়ে যেতেই ভয় হয়। বিজয়রামে যে কোনও সময়ে টোটো উল্টে যেতে পারে।’’ একই কথা বলেন বাস চালক তারকেশ্বর চন্দ্ররাও।
পূর্ত দফতর জানায়, বিজয়রাম এলাকায় রাস্তা থেকে জল সরিয়ে প্রাথমিক ভাবে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। দফতরের আধিকারিক ভজন সরকার বলেন, ‘‘রাস্তাটি পাকাপাকি সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। বৃষ্টি কমলে রাস্তার কাজ ফের জোরকদমে শুরু হবে।’’