বোমার আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি। নিজস্ব চিত্র।
রাম মন্দিরের জন্য অর্থ সংগ্রহের ‘অপরাধে’ এক বিজেপি কর্মীর বাড়িতে পর পর বোমা মেরে গেল দুষ্কৃতীরা। বোমার আঘাতে জানালার কাচ ভেঙেছে। পশ্চিম বর্ধমানে কাঁকসা থানার সুভাষ পল্লি এলাকার ঘটনা। এ ভাবে বোমাবাজির ঘটনায় আতঙ্কে ওই পরিবার-সহ গোটা এলাকার মানুষ। এই ঘটনার পিছনে তৃণমূলের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের। অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
সুভাষ পল্লির বাসিন্দারা রবিবার রাত্রে হঠাৎই বোমাবাজির শব্দ শুনতে পান। বেরিয়ে দেখেন, প্রতিবেশী চন্দন সরকারের বাড়িতে বোমা মারছে এক দল দুষ্কৃতী। প্রতিবেশীরা সবাই মিলে চিৎকার করতেই পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছে যান স্থানীয় বিজেপি কর্মীরাও।
এলাকায় বোমাবাজির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কাঁকসা থানার পুলিশ। বসতবাড়িতে এ ভাবে বোমাবাজির ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেন স্থানীয়রা। পুলিশের সামনে বিক্ষোভও দেখান তাঁরা। এর পর পুলিশ দোষীদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়।
চন্দনের স্ত্রী পূর্ণিমা অভিযোগ করেন, অযোধ্যায় রাম মন্দিরের জন্য এলাকায় ঘুরে ঘুরে তাঁর স্বামী অর্থ সংগ্রহ করছিলেন। হতে পারে, এই কারণেই দুষ্কৃতীরা বোমা ছুঁড়েছে। বিজেপির স্থানীয় নেতা রমণ শর্মা সোজাসুজি তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকে আঙুল তুলেছেন। তিনি দাবি করেন, যতই আটকানোর চেষ্টা হোক রাম মন্দির নির্মাণ হবেই।
এলাকার মানুষের বক্তব্য, রাজনীতি রাজনীতির জয়গায়। লোকালয়ে ঢুকে বাড়িতে সাধারণ মানুষকে লক্ষ্য করে এ ভাবে বোমাবাজি কেন? রাজনৈতিক অশান্তি এ ভাবে পরিবারের মানুষের উপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে কেন? এই পরিস্থিতি কবে শেষ হবে?
যদিও এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস কোনও ভাবেই যুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা দেবদাস বক্সী। তিনি বলেন, “বিজেপি রাজ্যে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করে নিজেদের ভোট ব্যাঙ্ক বানাতে চাইছে। সে চেষ্টা সফল হবে না।”
ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে কাঁকসা থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান বিজেপির কর্মী ও সমর্থকরা। কেউ গ্রেফতার না হলে বড়সড় আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে বিজেপি। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।