Dead body recovered

তরুণীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, খুনের অভিযোগ পরিবারের

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৌনীর স্বামী বীরু পেশায় বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি। বাড়ি সংলগ্ন একটি ঘরে তাঁর বৈদ্যুতিন সামগ্রীর দোকান রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০২৩ ১৭:২৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

এক তরুণীকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হল। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে জানান চিকিৎসকেরা। এ বিষয়ে খুনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। নিহত মৌনী সাউ (২০) দুর্গাপুরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের মেনগেটের চণ্ডী স্কুল লাগোয়া এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। সোমবারের ঘটনা। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়না-তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৌনীর স্বামী বীরু পেশায় বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি। বাড়ি সংলগ্ন একটি ঘরে তাঁর বৈদ্যুতিন সামগ্রীর দোকান রয়েছে। সেই দোকানেই এ দিন মৌনীর ঝুলন্ত দেহ মেলে। দম্পতির একটি বছর দুয়েকের কন্যা সন্তান রয়েছে। মৌনী ও বীরুর মধ্যে আগে থেকেই প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বছর তিনেক আগে বিয়ে হয়। মেনেগট সারদাপল্লির বাসিন্দা মৌনীর দাদা অমিতের দাবি, তাঁর বোনকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। শ্বশুরবাড়ি থেকে তাঁদের কোনও খবর দেওয়া হয়নি। লোকমুখে ঘটনার কথা শুনে তাঁরা মৌনীর শ্বশুরবাড়িতে যান। অমিতের দাবি, বিয়ের পরে থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকজন পণের দাবিতে মৌনীর উপরে অত্যাচার চালাতেন। তিনি বলেন, “বোনকে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হত।” প্রতিবেশী এক দোকানদার হরেরাম প্রসাদ দাবি করেন, মৌনী ও বীরুর মধ্যে প্রায়শই অশান্তি হত।

স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে উঠে রোজকার মতো পুজো করেন মৌনী। এর পরে পরিবারের সবাইকে চা তৈরি করে খাওয়ান। এর কিছুক্ষণ পরেই সকাল ১০টা নাগাদ তাঁর ঝুলন্ত দেহ মেলে। দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে জানান। মৌনীর বাপের বাড়ির লোকজন ওয়াড়িয়া ফাঁড়িতে গিয়ে বীরু, বীরুর বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে। চেষ্টা করেও মৌনীর শ্বশুরবাড়ির লোকজনের প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement