প্রতীকী ছবি।
মুরগির দোকানের কর্মীর দেহ উদ্ধার ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল পশ্চিম বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বরে। মৃতের নাম দিলীপ তুরি। পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ওই যুবককে তৃণমূল কর্মী বলে দাবি করেছেন। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা পাণ্ডবেশ্বরের পরিবেশ অশান্ত করার চেষ্টা করছে। যদিও খুনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব।
দিলীপ পাণ্ডবেশ্বরের পন্থানগরের কাছে একটি মুরগির দোকানে কাজ করতেন। মঙ্গলবার রাত ১১টা বেজে গেলেও বাড়ি ফেরেননি তিনি। তখনই পরিবারের লোক তাঁর খোঁজ শুরু করেন। দীর্ঘক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর পন্থানগর ফুটবল মাঠে দিলীপের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। তার পর খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দিলীপ এলাকায় ভাল মানুষ হিসাবেই পরিচিত ছিলেন।
দিলীপ খুন হয়েছেন— এই খবর পেয়ে সেখানে গিয়েছিলেন পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। তাঁর দাবি, দিলীপ তৃণমূল কর্মী। খুন হওয়া নিয়ে তাঁর অভিযোগ, পাণ্ডবেশ্বরকে অশান্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। দিলীপের পরিবারের পাশে থাকারও আশ্বাস দেন তিনি।
তবে খুনের কথা অস্বীকার করে বিজেপি-র আসানসোল জেলা কনভেনার শিবরাম বর্মন বলেছেন, ‘‘বিজেপি এ ধরনের ঘৃণ্য কাজ করে না। দুষ্কৃতীরা কাদের ছত্রছায়ায় রয়েছে, তা সবার জানা। পুলিশ নিরপেক্ষ ভাবে তদন্ত করুক এবং দোষীদের কঠিন সাজা দিক। নিরপেক্ষ তদন্ত হলেই খুনের পিছনে আসল সত্য উঠে আসবে।’’