Dead body recovered

বাড়ি থেকে উদ্ধার বছর পাঁচেকের মেয়ে ও মায়ের ঝুলন্ত দেহ, চাঞ্চল্য কাটোয়ায়

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাটোয়া শেষ আপডেট: ১১ মার্চ ২০২৩ ২২:৫২
Share:

বাড়ি থেকে উদ্ধার হল শিশুকন্যা-সহ মহিলার ঝুলন্ত দেহ। বিশেষ শারীরিক ক্ষমতাসম্পন্ন মেয়েকে খুন করে ওই মহিলা আত্মঘাতী হয়েছেন বলেই দাবি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার ইসলামপুর গ্রামে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, বেশ কয়েক বছর আগে নারসিনা বিবির সঙ্গে মন্টু শেখের বিয়ে হয়। তাঁদের বছর পাঁচেকের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। নারসিনার স্বামী মিন্টু কর্মসূত্রে ভিন্ রাজ্যে থাকেন। শ্বশুর, শাশুড়ি ও ননদের সঙ্গে থাকতেন তিনি। শনিবার সকালে নারসিনার শ্বশুর, শাশুড়ি বাড়িতে দীর্ঘ ক্ষণ ছিলেন না। দুপুরের দিকে বাড়ি ফেরেন তাঁরা। নারসিনার শ্বশুর একটি ঘরে ঢুকে দেখেন, সিলিং থেকে তাঁর বছর পাঁচেকের নাতনির দেহ ঝুলছে। চিৎকার শুরু করেন তিনি। প্রতিবেশীরা জড়ো হয়ে যান। অবশ্য চিৎকার চেঁচামেচির পরেও পুত্রবধূকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না শ্বশুর। তিনি খোঁজখবর শুরু করেন। তার পরেই দেখা যায়, পাশের ঘরটি ভিতর থেকে বন্ধ। সেই ঘরের ভিতরে ঢুকে দেখেন, সিলিং থেকে ঝুলছে বধূর দেহ।

খবর দেওয়া হয় থানায়। খবর পাওয়ামাত্রই কাটোয়া থানার পুলিশ তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছন পূর্ব বর্ধমানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ)। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, মেয়েকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই বধূ। স্থানীয়দের দাবি, নারসিনা বিবির মেয়ে বিশেষ শারীরিক ক্ষমতাসম্পন্ন। প্রতিবেশীদের অভিযোগ, তা নিয়ে প্রায়শই শ্বশুরবাড়িতে গঞ্জনা শুনতে হত তাঁকে। শাশুড়ির সঙ্গে ঝগড়াঝাঁটি লেগেই থাকত। সেই গঞ্জনা সহ্য করতে না পেরে মেয়েকে খুন করে আত্মঘাতী হন তিনি। তবে এই ঘটনার নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement