দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ গেরুয়া কর্মীদের। —নিজস্ব চিত্র।
রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে শাসক দলের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছে বিজেপি। ওই একই দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠল বিজেপি নেতার পরিবারের বিরুদ্ধেই। প্রতিবাদে শনিবার পূর্ব বর্ধমানের ঘোড়দৌড়় চটির জেলা বিজেপির কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন বিজেপি নেতা-কর্মীদের একাংশ। অভিযোগের কেন্দ্রে জেলা বিজেপির যুব সভাপতি পূরব সাম।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, ‘‘বিজেপির যুব সভাপতি পূরব সামের দাদা এবং বৌদিই মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে শিক্ষকতার চাকরি পেয়েছিলেন। সম্প্রতি হাই কোর্টের নির্দেশে সেই চাকরিও খুইয়েছেন স্বামী-স্ত্রী।’’ যেখানে শাসকদলের বিরুদ্ধে শিক্ষক দুর্নীতি নিয়ে বিজেপি সরব হচ্ছে, সেখানে বিজেপি নেতার পরিবার ওই একই অভিযোগে বিদ্ধ হওয়ায় দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ দলের কর্মী-সমর্থকদের।
রবিবারই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী পূর্ব বর্ধমানে সভা করতে আসছেন। তাঁর কাছে এ নিয়ে অভিযোগ জানাবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিক্ষোভরত বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। স্থানীয় বিজেপি কর্মী ইন্দ্রনীল গোস্বামীর কথায়, ‘‘বিজেপির যুব সভাপতি পুরব সাম ওরফে পিন্টু সাম বিভিন্ন দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। পিন্টুর দাদা-বৌদি ঘুরপথে এসএসসিতে চাকরি পেয়েছিলেন। ইতিমধ্যে আদালতের নির্দেশে সেই চাকরি বাতিল হয়েছে। তাই অবিলম্বে পিন্টুকে বহিষ্কার করতে হবে।’’ ওই বিজেপি নেতাকে বহিষ্কার না করলে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনে শামিল হওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছেন বলে জানান ইন্দ্রনীল।
যাঁকে নিয়ে এই অভিযোগ এবং বিক্ষোভ, সেই পূরবের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে এই বিক্ষোভ প্রসঙ্গে জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, ‘‘দল গোটা বিষয়টি দেখছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ শনিবারের ঘটনায় কটাক্ষের সুযোগ হাতছাড়া করেনি শাসক শিবির। রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র দেবু টুডু বলেন, ‘‘আমি তো আগেই বলেছি, চোরের মায়ের বড় গলা। বিজেপি নেতাদের এক এক জন বড় চোর। এখন নিজেদের মধ্যেই চোর ধরার কাজ করছেন।’’