পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটি অগ্নিমিত্রার। নিজস্ব চিত্র।
বিজেপি নাট্যকর্মীদের মাঝরাতে রেলস্টেশনে গিয়ে হেনস্থার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। সে খবর পেয়েই আসানসোল রেলস্টেশনে হাজির বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল। শুক্রবার রাতে এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় আসানসোল রেলস্টেশনে।
অভিযোগ, আসানসোল রেলস্টেশনের বিশ্রামাগারে ছিলেন মেদিনীপুর থেকে আসা বিজেপি-র নাটক দলের ১৬ জনের সদস্য। আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ দিনের বেলা এক বার তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে যান। রাত ১১ টা নাগাদ আবার ওই নাট্যকর্মীদের কাছে গিয়ে তাঁদের নানা প্রশ্ন করতে থাকে পুলিশ। এমনকি তাঁদের কুশল জানার অছিলায় শাসানো হয় বলে অভিযোগ নাট্যকর্মীদের।
এই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা, রাজ্য নেতা কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়, বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়, ওমনারায়ণ প্রসাদরা। তাঁরা আসানসোল দক্ষিণ থানার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। থানা থেকে জানানো হয়, থানার বড়বাবুর নির্দেশে এই তদন্ত। এ নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন অগ্নিমিত্রারা।
মাত্র এক দিন আগে আসানসোল দক্ষিণ থানার আইসি অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে বদলির নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তার পর এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ বিজেপি। তারা আবারও পুলিশের বিরুদ্ধে শাসক দলের হয়ে কাজ করার অভিযোগ তুলেছে।
অন্য দিকে, পুলিশের দাবি, এলাকার বিভিন্ন হোটেল, রেলওয়ে স্টেশনে অনেক বহিরাগতরা আসছেন। উপনির্বাচনের সময় যাতে কোনও অশান্তির ঘটনা না ঘটে, তার জন্যই তারা খোঁজ নিচ্ছে। তাদের আরও দাবি, রেলওয়ে বিশ্রামাগারে কেউ এক দিন বা দু’দিন থাকতে পারেন। যদি ট্রেনে দূরের কোনও জায়গা থেকে কেউ আসেন, সে ক্ষেত্রে রেজিস্টারে পিএনআর নম্বর লিখে বুক করতে হয়। পুলিশের কাছে অভিযোগ ছিল রেজিস্টারে সে রকম কিছু নাম লেখা নেই। সে জন্যই তাঁরা গিয়েছিলেন। যদিও রেলের আসানসোল স্টেশনের ডেপুটি কমার্শিয়াল ম্যানেজার প্রমোদ সিংহ ভিন্ন কথা বলছেন। তিনি জানান, রেলের নিয়ম অনুসারে ওই ১৬ জন রয়েছেন। গত ৪ এপ্রিল থেকে তাঁদের বুকিং রয়েছে। নিয়মের বাইরে কোনও কাজ করা হয়নি।