কর্মসূচিতে নেতা-সহ কারও মুখে মাস্ক নেই বললেই চলে। নিজস্ব চিত্র
বিজেপির ‘চায়ে পে চর্চা’ কর্মসূচি সোমবার হয়েছে দুর্গাপুরের রাতুড়িয়ার হেডকোয়ার্টার এলাকায়। ছিলেন বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়, দলের আসানসোল জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুই প্রমুখ।
এ দিকে, এই কর্মসূচিকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। পারুলিয়ার বিজেপি কর্মী স্বরূপ সৌ খুনের ঘটনায় ধৃত ‘সুপারি কিলার’ শেখ ইব্রাহিমের সঙ্গে বিজেপি নেতৃত্বের যোগ রয়েছে বলে সম্প্রতি এক সাংবাদিক সম্মেলনে দাবি করেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারি। এ দিন তাঁর মন্তব্য, ‘‘চায়ে পে চর্চার নাম করে বিজেপি নেতারা এখানে আসছেন। আর এলাকাকে অশান্ত করার চক্রান্ত করছেন। অর্থের বিনিময়ে এমনই পরিস্থিতি তৈরি করে যাচ্ছেন তাঁরা। তার পরে কেউ খুন হলে তা নিয়ে রাজ্য জুড়ে মিথ্যা অশান্তি ছড়ানো হচ্ছে।’’
অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রাজুবাবু। ইব্রাহিমকে দলীয় সদস্য বলে স্বীকার করে নিয়ে তিনি দাবি করেন, ‘‘পুলিশ তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের আড়াল করতেই তাকে (ইব্রাহিম) ফাঁসিয়েছে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘এ রাজ্যে আইনের শাসন নেই, উন্নয়ন নেই, মহিলাদের সম্মান নেই। এই সিস্টেমের বিরুদ্ধে যাঁরা লড়বেন, তাঁদের সবাইকে আমরা স্বাগত জানাই।’’ তিনি কি তা হলে সদ্য রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দেওয়া শুভেন্দু অধিকারীর দিকে ইঙ্গিত করছেন? উত্তরে রাজুবাবু বলেন, ‘‘শুভেন্দু অধিকারী আসবেন কি না সেটা তিনিই বলতে পারবেন। তবে বাংলার যুব সমাজের উপরে তাঁর প্রভাব আছে। তিনি এলে আমাদের গণতন্ত্রের পুনপ্রতিষ্ঠার লড়াই আরও শক্তিশালী হবে।’’ জিতেন্দ্রবাবুর কটাক্ষ, ‘‘ওঁদের দলে কোনও নেতাই নেই। তাই অন্য দলের নেতাদের ডাকছেন।’’