ক্ষোভ: উপরে আসানসোলে মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি। নিজস্ব চিত্র
সাংসদ মেলার আয়োজন হোক বা কাজী নজরুল ইসলামের মূর্তি সরানো নিয়ে তরজা। সাম্প্রতিক অতীতে নানা বিষয়ে বারবার বিজেপি-তৃণমূল টানাপড়েন দেখেছে এই জেলা। এ বার বিজেপি নেতার মন্তব্যের পাল্টা হিসেবে ‘হরলিক্স, ডাব’-এর রাজনীতি দেখল জেলা।
দার্জিলিংয়ে দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে নিগ্রহের প্রতিবাদসভা থেকে শুক্রবার বিজেপি-র পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি তাপস রায় বলেছিলেন, ‘‘তৃণমূল সদস্যদের আঙুল ভেঙে দেওয়া হবে।’’ এর পরে, শনিবার গোটা রাজ্যের মতো আসানসোলেও বিক্ষোভ-মিছিল করে তৃণমূল। এ দিন দুপুরে আচমকা কয়েক জন তৃণমূলকর্মী হরলিক্স ও ডাব নিয়ে হাজির হন আসানসোলে জিটি রোড লাগোয়া বিজেপি কার্যালয়ে। তবে সেই সময়ে কার্যালয়ে কোনও বিজেপি নেতা, কর্মী উপস্থিত ছিলেন না। তাই, সেগুলি কার্যালয়ে রেখেই ফিরে আসেন তৃণমূল কর্মীরা। এ প্রসঙ্গে আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন, ‘‘বিজেপি অতটা সুস্থ-সবল নয়, যে আমাদের আঙুল ভাঙবে। তাই ওদের সবল করে তুলতে হরলিক্স, ডাব পাঠালাম।’’
যদিও এ দিনের এমন ‘অভিনব-প্রতিবাদ’ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা তাপসবাবু বলেন, ‘‘আমরা মনে করি ওদেরই এখন শক্তি বাড়াতে হরলিক্স ও ডাবের জলের দরকার। আমাদের না পাঠিয়ে নিজেরাই খেলে পারে। কম হলে আমরা আরও পাঠাতে পারি।’’
এ ছাড়া বারাবনি, কুলটি, রানিগঞ্জের রতিবাটি, জামুড়িয়া-সহ জেলার নানা জায়গায় প্রতিবাদসভা, মিছিল করে তৃণমূল। নানা সভায় যোগ দেন বিধান উপাধ্যায়, মুকুল উপাধ্যায়, অসিত সিংহ, মহেশ্বর মুখোপাধ্যায়-সহ তৃণমূল নেতারা। পূর্ব কর্মসূচি মতো দাহ করা হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কুশপুতুলও। রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশেই এই কর্মসূচি, জানান তৃণমূলের জেলা সভাপতি ভি শিবদাসন।
দুর্গাপুরেও কর্মসূচি পালন করে তৃণমূল। দুপুরে সিটি সেন্টারে একটি মিছিল বের করে শাসক দল। হয় সমাবেশও। ছিলেন, তৃণমূলের দুর্গাপুর জেলা সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায়, দুর্গাপুর পুরসভার মেয়র দিলীপ অগস্তি, চেয়ারম্যান মৃগেন্দ্রনাথ পাল, মেয়র পারিষদ অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। সমাবেশ থেকে বিজেপি-র বিরুদ্ধে নানা বিষয়ে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ করেন তৃণমূল নেতৃত্ব। অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি।