লাউদোহায় কর্মীর মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ বিজেপির

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২ ডিসেম্বর গৌরবাজার এলাকায় বালির ট্রাকের ধাক্কায় এক যুবকের মৃত্যু হয়। এর পরেই বেশ কয়েকটি বালির ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেয় ক্ষুব্ধ জনতা। ঘটনায় জড়িত অভিযোগে অর্ণবকে বৃহস্পতিবার রাতে প্রথমে আটক ও পরে গ্রেফতার করা হয় বলে জানায় পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

লাউদোহা শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯ ০১:২৪
Share:

ফরিদপুর থানার সামনে জমায়েত নেতা-কর্মীদের। শনিবার। নিজস্ব চিত্র

ধৃত বিজেপি কর্মীর মুক্তির দাবিতে থানায় বিক্ষোভে দেখাল বিজেপি। শনিবার ফরিদপুর (লাউদোহা) থানায় জড়ো হয়ে বিজেপি নেতা-কর্মীরা দাবি করেন, অর্ণব মুখোপাধ্যায় নামে ওই কর্মীকে অন্যায় ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য আগে থেকে পুলিশের বড় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। হাজির ছিল কমব্যাট ফোর্সও। বিক্ষোভের পরে থানায় স্মারকলিপি দেওয়া হয় বিজেপির তরফে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২ ডিসেম্বর গৌরবাজার এলাকায় বালির ট্রাকের ধাক্কায় এক যুবকের মৃত্যু হয়। এর পরেই বেশ কয়েকটি বালির ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেয় ক্ষুব্ধ জনতা। ঘটনায় জড়িত অভিযোগে অর্ণবকে বৃহস্পতিবার রাতে প্রথমে আটক ও পরে গ্রেফতার করা হয় বলে জানায় পুলিশ। শুক্রবার তাঁকে আদালতে তোলা হলে জামিন নামঞ্জুর করে পাঁচ দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অর্ণব এলাকায় বিজেপি কর্মী হিসেবে পরিচিত। বিজেপি নেতা-কর্মীদের দাবি, ভাঙচুর বা অগ্নিসংযোগের কারণে নয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হওয়ার জন্য ষড়যন্ত্র করে গ্রেফতার করা হয়েছে অর্ণবকে। কুলটিবাসীকে জল ‘উপহার’ দেওয়ার জন্য আসানসোলের এক তৃণমূল কাউন্সিলর মুখ্যমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সম্প্রতি সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে একটি বার্তা পোস্ট করেন। সেই পোস্টে ওই জলপ্রকল্পে মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অর্ণব। বিজেপি নেতা জিতেন চট্টোপাধ্যায় দাবি করেন, ‘‘অর্ণব কোনও অশালীন মন্তব্য করেননি। কোনও হুমকিও দেননি। তা সত্ত্বেও তৃণমূলের মদতে অন্যায় ভাবে ওই কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।’’

Advertisement

এর প্রতিবাদে শনিবার দুপুরে থানায় বিজেপির পতাকা হাতে বিক্ষোভ দেখানো হয়। অবিলম্বে অর্ণবকে মুক্তি না দেওয়া হলে বড় আন্দোলনে নামার হুমকিও দেন দলের নেতা-কর্মীরা। বিজেপির যুবমোর্চার জেলা সভাপতি অরিজিৎ রায়ের অভিযোগ, ‘‘মতামত ব্যক্ত করা সাংবিধানিক অধিকার। তা খর্ব করা হচ্ছে।’’ এ দিন থানায় ঢোকার মুখে পুলিশের সঙ্গে বচসাতেও জড়ান তাঁরা। তবে পুলিশ দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

তৃণমূল অবশ্য গ্রেফতারিতে মদতের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় মন্তব্যের সঙ্গে গ্রেফতারের কোনও সম্পর্কের কথা মানতে চায়নি পুলিশও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement