ফাইল চিত্র।
ছিল সিপিএমের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ‘কালা দিবস’ প্রতিবাদ কর্মসূচি। কিন্তু সিপিএম নয়, তৃণমূল বিরোধী সুরই শোনা গেল বিজেপি নেতাদের গলায়। সোমবার মঙ্গলকোটের নিগনে ওই সভায় তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডলকে তীব্র আক্রমণ করেন বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। যদিও তাঁর মন্তব্যে কান দিতে নারাজ শাসকদল।
বিজেপি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৯৪ সালের ২৫ জানুয়ারি নিগন গ্রামে দু’শো বিজেপি কর্মীর বাড়িতে আগুন লাগানোর অভিযোগ ওঠে সিপিএমের বিরুদ্ধে। সেই সময় বিষয়টি নিয়ে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় হয়। তার পর থেকে প্রতি বছরই এ দিন ‘কালা দিবস’ পালন করে বিজেপি। তবে এ বার ভোটের আবহে আক্রমণের মুখ ঘুরে গিয়েছে তৃণমূলের দিকে। এ দিন গ্রামের হাটতলায় মঞ্চে ছিলেন বিজেপির মঙ্গলকোটের নেতা রাণাপ্রতাপ গোস্বামী, শিশির ঘোষ, অলোকতরঙ্গ গোস্বামীরা। ছিলেন জেলা যুব মোর্চার সভাপতি শুভদীপ সমাদ্দার। সৌমিত্রবাবু শুরু থেকেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে ওঠেন। দলীয় কর্মীদের রাস্তাঘাটে ‘জয় শ্রী রাম’ ধ্বনি দেওয়ার পরামর্শও দেন তিনি। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বিনয় মিশ্রের মাধ্যমে প্রাইমারি চাকরি, এসএসসি ও কয়লার অবৈধ কারবারের টাকা নেওয়ার অভিযোগ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। দাবি করেন, ‘‘সমস্ত তথ্যপ্রমাণ রয়েছে।’’ অনুব্রত মণ্ডলেরও সমালোচনা করেন তিনি।
যদিও বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা মঙ্গলকোটের দায়িত্বে থাকা অনুব্রত মণ্ডলের দাবি, “ওঁর কথার কোনও গুরুত্ব নেই।’’
রায়নার কেঁউটা গ্রামে এ দিন জনসভা করেন বিজেপি নেতা রাহুল সিংহ। তৃণমূলের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম থেকে শুরু করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দাগেন তিনি। সভায় ছিলেন সাংসদ সুনীল মণ্ডল, জেলা সভাপতি (বর্ধমান সদর) সন্দীপ নন্দীও। রাহুল সিংহের অভিযোগ, ‘‘পিকে ও ভাইপোর অত্যাচারে দলে দলে তৃণমূল নেতা কর্মীরা বিজেপিতে আসছেন। সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। নির্বাচনের আগে রাজ্যে কোড অফ কন্ডাক্ট চালু করবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তখনই দলে দলে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা বিজেপিতে যোগ দেবেন।’’ যদিও রাজ্য তৃণমূলের অন্যতম মুখপাত্র দেবু টুডুর পাল্টা কটাক্ষ, ‘‘বিজেপি কার্যালয়ে ভাঙচুর চালাচ্ছে দলেরই লোকজন। রাজ্য নেতৃত্ব দলের নেতাদের শো-কজ় করছে। ভোটের আগে বিজেপি পার্টিটাই না উঠে যায়।’’ কলকাতার কালীঘাটে বস্তাবন্দি টাকা পোড়ার ঘটনায় তদন্তেরও দাবি করেন রাহুলবাবু।