বিজেপির রাজ্য সহসভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
জামুড়িয়ার চিঁচুড়িয়ায় সোমবার দলীয় কার্যালয়ের উদ্বোধনে গিয়ে পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে ব্যক্তি আক্রমণ করলেন বিজেপির রাজ্য সহসভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘ক্ষমতায় এলে বীরভূমের কেষ্ট (অনুব্রত মণ্ডল) ও অন্য দিকে, জিতেন কেউ ছাড় পাবেন না। জিতেনকে জেলে পাঠাব।’’
এ প্রসঙ্গে জিতেন্দ্রবাবু বলেন, “রাজনীতির পরিসরে সংযত হয়ে কথা বলাই রীতি। ভগবানের কাছে প্রার্থনা, ওঁকে ক্ষমা করুন।” অনুব্রত মণ্ডলের প্রতিক্রিয়া, ‘‘এই সব কথায় মন্তব্য করার অর্থ, তাঁকে গুরুত্ব (হাইলাইট করা) দেওয়া।’’
এ দিন, ঝাঁঝরা গ্রামে বিজেপির পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভা কেন্দ্রের দলীয় নেতৃবৃন্দকে নিয়ে বৈঠক হয়। রাজ্যবাবু ছাড়াও ছিলেন দলের আসানসোল জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুই। জামুড়িয়ার চিঁচুড়িয়া ডাঙালপাড়ায় দলের জামুড়িয়া ২ নম্বর মণ্ডলের নেতৃত্বে ২০টি ক্লাবকে একটি করে ফুটবল দেওয়া হয়। ছ’টি গ্রামের ছ’টি মন্দিরে একটি করে এলইডি আলো ও ৫০টি পরিবারকে একটি করে ত্রিপল দেওয়া হয়। বিজেপির দাবি, চিঁচুড়িয়ায় তৃণমূল থেকে প্রায় দু’শো জন কর্মী-সমর্থক ও রানিগঞ্জের পলাশবনে সিপিএম ও তৃণমূল ছেড়ে ৪০টি পরিবার বিজেপিতে যোগ দিয়েছে।
দলবদল প্রসঙ্গে জিতেন্দ্রবাবু জানান, তৃণমূল ছেড়ে কেউ বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, বলে তাঁর কাছে খবর নেই। সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য প্রবীর মণ্ডলের দাবি, “পলাশবনের কেউই বেশ কয়েক বছর আমাদের দলের সঙ্গে যুক্ত নেই। স্বাভাবিক ভাবেই দল ছাড়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না।’’