Dilip Ghosh at Guskara

লড়াইয়ের বার্তা দিলীপের

লোকসভা নির্বাচনের দিন বর্ধমানের কপিবাগান এলাকায় দিলীপ ও তাঁর নিরাপত্তারক্ষীদের বিরুদ্ধে কয়েক জন তৃণমূল কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০২৪ ০৯:৩৩
Share:

গুসকরায় দিলীপ ঘোষ। নিজস্ব চিত্র।

বিধানসভা ভোটে লড়াইয়ের জন্য দলীয় কর্মীদের প্রস্তুত হতে বললেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। শুক্রবার তিনি বর্ধমানে এসেছিলেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ দাঁইহাটে আসেন দিলীপ। সেখানে ছিলেন প্রায় শ’পাঁচেক কর্মী সমর্থক। দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন দিলীপ।

Advertisement

কয়েক জন কর্মী জানান, দিলীপ বিধানসভা ভোটের জন্য কর্মীদের লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে বলেছেন। হাজির নেতাকর্মীদের মধ্যে ছিলেন দলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষ। তিনি বলেন ‘‘দিলীপদা আমাদের দলের নেতা। উনি আসছেন শুনে দলের পুরনো-নতুন বহু কর্মী দাঁইহাটে এসেছিলেন। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করতে বলেছেন উনি।’’ দাঁইহাটে এ দিন দেখা যায়নি বিজেপির কাটোয়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি গোপাল চট্টোপাধ্যায় বা তাঁর অনুগামীদের। গোপাল বলেন, ‘‘উনি (দিলীপ) সাংগঠনিক কাজে আসেননি।’’

গত লোকসভা নির্বাচনের দিন বর্ধমানের কপিবাগান এলাকায় দিলীপ ও তাঁর নিরাপত্তারক্ষীদের বিরুদ্ধে কয়েক জন তৃণমূল কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল। তিন জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন এক মহিলা। ওই মামলায় কয়েক দিন আগে জেলা জজ আদালতে দিলীপ আগাম জামিনের আবেদন করলে তা মঞ্জুর করা হয়। এ দিন বর্ধমান সিজেএম আদালতে আত্মসমর্পণ করেন দিলীপ। পরে জামিন দেওয়া হয় তাঁকে।

Advertisement

বিকেলে গুসকরা নদীপটি বিজেপি কার্যালয়ে গিয়েছিলেন দিলীপ। কার্যকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকও করেন। তিনি বলেন, “কর্মীদের সঙ্গে চা খাওয়ার জন্য গুসকরায় এসেছি।” মঙ্গলকোটের চানক অঞ্চলের সারঙ্গপুরের বাসিন্দা প্রভাতী সরকার দিলীপের কাছে অভিযোগ করেন, বিজেপি করায় পঞ্চায়েত থেকে তাঁকে কোনও কাগজে সই দেওয়া হচ্ছে না। তাঁর দাবি, ‘‘বিজেপি কর্মীরা কোনও সুবিধা পাচ্ছে না। স্বাক্ষরের জন্য গেলে পঞ্চায়েত থেকে বলছে, তোমরা বিজেপি করো, তোমরা পাবে না। গোটা মঙ্গলকোটে এই সমস্যা হচ্ছে। এখন আমাদের পরিস্থিতি খারাপ। দাদাকে পেয়ে সমস্যার কথা জানালাম।’’ বিজেপির বোলপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সন্ন্যাসীচরণ মণ্ডল বলেন, “এ রকম চলতে থাকলে প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হবে।”

মঙ্গলকোটের তৃণমূল বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরীর দাবি, “এমন কোনও অভিযোগ আমাদের কাছে আসেনি। সকলেই রাজ্য সরকারের নানা প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন। আমি হাজার হাজার শংসাপত্রে সই করছি। সমস্যা হলে উনি আমাকে বা বিডিও-র কাছে অভিযোগ জানাতে পারতেন। দিলীপ ঘোষের কাছে অভিযোগ জানিয়ে কী লাভ? মনে হয় রাজনীতি করতেই এই অভিযোগ তোলা হচ্ছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement