অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের ভার্চুয়াল উদ্বোধন মোদীর। সোমবার বার্নপুরে। নিজস্ব চিত্র।
রেলের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ‘লুট-সর্বস্ব রাজনীতির’ করার অভিযোগ তুলে বিতর্কে জড়ালেন আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। তৃণমূলের অভিযোগ, সরকারি অনুষ্ঠানকে দলীয় কর্মসূচিতে পরিণত করেছে বিজেপি।
সোমবার রেল মন্ত্রকের ‘অমৃত ভারত’ স্টেশন প্রকল্পের অনুষ্ঠান হয় বার্নপুর স্টেশনে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অগ্নিমিত্রা। অনুষ্ঠানে তাঁর মন্তব্য, “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সব সময় কেন্দ্রের বঞ্চনার দোষ দেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পশ্চিমবঙ্গের জন্য যে উন্নয়নমূলক কাজ করছেন, তা দেখতে পান না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্লোগানই হল, করব লুট।” সঙ্গে যোগ করেন: “বাংলায় কী উন্নতি হবে, তার কোনও গ্যারান্টি মুখ্যমন্ত্রী দিতে পারেন না। কিন্তু তাঁর গ্যারান্টি হচ্ছে, শেখ শাহজাহান, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডল ও জোতিপ্রিয় মল্লিক।”
তৃণমূলের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর পাল্টা খোঁচা, “সৌজন্যবোধটুকু বিজেপির নেতাদের নেই। কোথায় কী বলা উচিত, কী বলা উচিত নয়, ওঁরা জানেন না। ওঁরা সব কিছুকেই দলীয় কর্মসূচিতে পরিণত করেন। তাই ওঁদের দলের এমন অবস্থা।” তৃণমূলকে বেকায়দায় ফেলতে একশো দিনের কাজের টাকা কেন্দ্র বন্ধ করে দিয়েছে দাবি করে নরেন্দ্রনাথ বলেন, “রাজ্য সরকার নিজের তহবিল থেকে সেই টাকা খরচ করছে। ১ মার্চ থেকে টাকা দেওয়া শুরু হবে। সরকারের এই পদক্ষেপে ওঁদের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গিয়েছে। তাই অসংলগ্ন কথা বলে বিভ্রান্তি
তৈরি করছেন।”
রেলের অনুষ্ঠান উপলক্ষে নির্মিত ফলকে আসানসোলের তৃণমূল সাংসদ শত্রুঘ্ন সিন্হার নাম থাকলেও অনুষ্ঠানে তাঁকে দেখা যায়নি। আমন্ত্রণ জানানো হয়নি এলাকার তৃণমূল পুর-প্রতিনিধি অশোক রুদ্রকে। অশোকের কটাক্ষ, “বিরোধী দলের জনপ্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানোর
সৌজন্য দেখায় না কেন্দ্র সরকার।” রেলের তরফে জানানো হয়েছে, অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়টি দেখে রেলবোর্ড।