ভোটের আগের রাতে দুই বিজেপি প্রার্থীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র।
ভোটের আগের দিন তাঁদের দুই প্রার্থীকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে থানার সামনে বিক্ষোভ শুরু করেছিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি, কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়রা। গ্রেফতার হওয়া দুই প্রার্থী কার্তিকচন্দ্র দাস ও প্রসেনজিৎ মণ্ডলকে পুরভোটের সকালে মুক্তি দিল পুলিশ। বিজেপি-র অবশ্য দাবি, নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপেই তাদের দুই প্রার্থীকে ছেড়েছে পুলিশ।
শুক্রবার আসানসোল পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী কার্তিকচন্দ্র দাস ও ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী প্রসেনজিৎ মণ্ডলকে আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ গ্রেফতার করে। এই দুই প্রার্থীর বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করেছিলেন তৃণমূল প্রার্থী অভিজিৎ ঘটক। এর পর তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। প্রতিবাদে থানার সামনে বিক্ষোভ শুরু করে বিজেপি। অবশেষে শনিবার ভোরে গ্রেফতার হওয়া দুই প্রার্থীকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
অভিজিতের অভিযোগ, একটি বাড়িতে হামলা চালানোর পাশাপাশি তাঁদের বাড়ির সামনে রাখা গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় যুক্ত ওই দুই অভিযুক্ত। ঘটনাটি ঘটে আসানসোল পুর নিগমের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কল্যাণপুর হাউসিং এলাকায়। এর পর বিজেপি প্রার্থী কার্তিকচন্দ্র দাস ও পাশের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী প্রসেনজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
অন্য দিকে আসানসোলের বিভিন্ন প্রান্তে বহিরাগতরা ঘাঁটি গেড়েছে এবং ভোটের আগে অশান্তি পাকাচ্ছে এই অভিযোগে আন্দোলন শুরু করে বিজেপি। আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল, বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি, কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়ের আন্দোলন শুরু করেন আসানসোলের ঘাঘরবুড়ি মন্দির কমিউনিটি হলে। আসানসোল ভগৎ সিংহের ম্যারেজ হল, বার্নপুরের বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয় বিক্ষোভ।
তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে অগ্নিমিত্রা কী ভাবে এলাকায় রয়েছেন। তাদের আরও অভিযোগ, জিতেন্দ্র তিওয়ারি ও কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়রা কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী নিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ এলাকায় ঘুরছেন। সাধারণ ভোটারদের বাড়িতে বিজেপি হামলা চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ তৃণমূলের।