Suicide Attempt

Suicide Attempt: বিজেপি করায় টিকার লাইনে তৃণমূলের গলা ধাক্কা খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা, অভিযোগ অস্বীকার শাসক দলের

গত বৃহস্পতিবার দুর্গাপুরের প্রাথমিক স্কুলে একটি টিকা শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই টিকা নিতে গিয়েছিলেন ঝর্ণা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২৩:৪৫
Share:

নিজস্ব চিত্র।

বিজেপি করার অপরাধে টিকা পাননি তিনি। প্রতিবাদ করায় সবার সামনে তাঁকে লাইন থেকে গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়। অপমানে দামোদরের জলে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুর পুর নিগমের ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের সুকুমার নগর এলাকার বাসিন্দা বছর তিরিশের ঝর্ণা দাস। এই ঘটনার পর উদ্ধার হওয়া একটি সুইসাইড নোটের ভিত্তিতে ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রিয়াঙ্কি পাঁজা-সহ কয়েক জন স্থানীয় তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে কোকওভেন থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন কাউন্সিলর।

Advertisement

গত বৃহস্পতিবার সুকুমার নগর প্রাথমিক স্কুলে একটি টিকা শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই টিকা নিতে গিয়েছিলেন ঝর্ণা। কুপন হাতে লাইনেও দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু বেলা গড়ালেও টিকা না মেলায় চিৎকার চেঁচামেচি করেন তিনি। সবাই টিকা পেলেও তিনি কেন পাবেন না, এই প্রশ্ন তোলায় ঝর্ণাকে গলা ধাক্কা দিয়ে লাইন থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ তাঁর স্বামী সুজিত দাসের। তিনি জানান, শুক্রবার বিকেলের দিকে কাউকে কিছু না বলে ঘর থেকে বেরিয়ে যান ঝর্ণা। দীর্ঘ ক্ষণ কেটে গেলেও স্ত্রী ঘরে না ফেরায় তাঁর সন্দেহ হয়। সঙ্গে সঙ্গেই স্ত্রীকে খুঁজতে বেরিয়ে পড়েন তিনি। পরে বাঁকুড়ার বড়জোড়া থানার পুলিশ সুজিতকে জানায়, দামোদরে ঝাঁপ দিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী। কোনও ক্রমে তাঁকে উদ্ধার করে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

এলাকায় একটি মুদির দোকান রয়েছে সুজিতের। গত বিধানসভা নির্বাচনে তিনি ও তাঁর স্ত্রী দু’জনেই বিজেপি-র হয়ে প্রচার করেছিলেন। সুজিতের অভিযোগ, ‘‘স্রেফ বিজেপি করার অপরাধে আমার স্ত্রীকে টিকাকেন্দ্রের লাইন থেকে গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়েছে। ওই অপমান সহ্য করতে না পেরেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে ঝর্ণা।’’ এখন স্ত্রীয়ের চিকিৎসার খরচ কী ভাবে টানবেন, তাই নিয়েই চিন্তিত সুজিত।

Advertisement

গোটা ঘটনাকে বাংলার লজ্জা বলে মন্তব্য করেন দুর্গাপুর নগর নিগমের কাউন্সিলর তথা বিজেপি নেতা চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়। অবিলম্বে অভিযুক্ত কাউন্সিলরকে গ্রেফতারের দাবিও জানিয়েছেন তিনি। প্রিয়াঙ্কি গ্রেফতার না হলে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘোড়ুই। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে দুর্গাপুর জেলা তৃণমূলের কনভেনর মৃগাঙ্ক পাল বলেন, ‘‘মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে। তৃণমূলের কোনও নেতা-নেত্রী এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন। বিরোধী দল করেন বলে কাউকে টিকা দেব না— এমন সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করে না তৃণমূল।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement