Nabanna Utsav

নবান্নে তিন দিনের উৎসব ভাতুড়িয়ায়

ভাতুড়িয়া এলাকার বেশির ভাগ মানুষ চাষাবাদের উপরে নির্ভরশীল। বহু বছর ধরেই নতুন ধান ওঠার পরে নবান্ন পালন করেন তাঁরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পূর্বস্থলী শেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২২ ০৮:৪৯
Share:

পূর্বস্থলীতে নবান্নের প্রতিমা ও মণ্ডপ। নিজস্ব চিত্র

তিন দিনের নবান্ন উৎসব শুরু হতে চলেছে পূর্বস্থলী ১ ব্লকের দোগাছিয়া পঞ্চায়েতের ভাতুড়িয়া এলাকায়। প্রতিমা, মণ্ডপ, আলোকসজ্জায় জমজমাট আয়োজন করেছে এলাকার বেশ কিছু ক্লাব। তা দেখতে ভিড় জমতে শুরু করেছে।

Advertisement

ভাতুড়িয়া এলাকার বেশির ভাগ মানুষ চাষাবাদের উপরে নির্ভরশীল। বহু বছর ধরেই নতুন ধান ওঠার পরে নবান্ন পালন করেন তাঁরা। দাসপাড়া, বাজার, ঘোষপাড়া মিলিয়ে ছোট-বড় প্রায় ২০টি পুজো হয়। কোথাও মন্দিরের আদলে মণ্ডপ তৈরি হয়েছে, কোথাও অন্নপূর্ণা, শিব বা নটরাজের প্রতিমা গড়া হয়েছে। সাজানো হয়েছে বাহারি আলো। ভাতুড়িয়া বাজার এলাকার নেতাজি তরুণ সঙ্ঘের মাঠে বসেছে বড় মেলা। ক্লাবের তরফে নারায়ণ হালদার বলেন, ‘‘উৎসব উপলক্ষে কলকাতা, আসানসোল, দুর্গাপুর থেকে বহু মানুষ আসেন। এ বার জৌলুস বেশি থাকায় আরও বেশি মানুষ আসবেন আশা করছি।’’ এলাকার বাসিন্দাদেরও দাবি, গত দু’বছর করোনার কারণে জাঁকজমক কিছুটা কম ছিল। পুজো মণ্ডপে ভিড়ও ছিল কম। এ বার প্রত্যেক উদ্যোক্তাই নিজেদের সাধ্যমত আয়োজন করেছেন।

ঘোষপাড়া অমরসঙ্গী ক্লাবের অস্থায়ী সম্পাদক মাধব সূত্রধর জানান, ৩৭ বছর ধরে নবান্ন পালন করেন তাঁরা। এ বারের বাজেট প্রায় লাখখানেক টাকা। দাসপাড়া মা অন্নপূর্ণা পুজো কমিটির তরফে অভিজিৎ দাসও বলেন, ‘‘এলাকায় দুর্গাপুজোয় তেমন ধুমধাম হয় না। সব কিছু নবান্নের জন্য তুলে রাখি আমরা।’’ ধান, আনাজের মতো বিভিন্ন ফসল বিক্রির টাকায় পুজোর আয়োজন হয়, জানান তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement