প্রায় আড়াইশো বছর ধরে কুড়মুনের গাজনে মরদেহের খুলি এবং দেহাংশ নাচের রেওয়াজ রয়েছে। নিজস্ব চিত্র।
গাজন মেলায় শিশুর কঙ্কাল নিয়ে নাচানাচির ঘটনায় নড়েচড়ে বসল রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন। তাদের নির্দেশে তড়িঘড়ি মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করল পূর্ব বর্ধমানের দেওয়ানদিঘি থানার পুলিশ।
প্রায় আড়াইশো বছর ধরে কুড়মুনের গাজনে মরদেহের খুলি এবং দেহাংশ নাচের রেওয়াজ রয়েছে। সেখানে খুলি নিয়ে লোফালুফি করেন সন্ন্যাসীরা। মরদেহ নিয়েও চলে নাচানাচি। বিভিন্ন শ্মশান থেকে দেহ তুলে আনেন সন্ন্যাসীরা। গাজনের পর অবশ্য তা আবার যথাস্থানে পুঁতে দিয়ে আসেন তাঁরা। কিন্তু বৃহস্পতিবার কুড়মুনের গাজনে একটি শিশুর কঙ্কাল নিয়ে সন্ন্যাসীদের নাচানাচির দৃশ্য ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন মাধ্যমে (ওই ছবির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)। ছবিতে দেখা যায়, মৃত শিশুর মাথা থেকে ধড় পর্যন্ত রয়েছে শুধু। নিম্নাংশ নেই। তা নিয়ে নাচানাচির ছবি প্রকাশ্যে আসার পর সমাজমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। নড়েচড়ে বসে শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন। বর্ধমান ১ নম্বর ব্লকের বিডিওর কাছে তারা বিষয়টি জানতে চায়। ইমেল মারফত বিডিও বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় থানার কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠান। তদন্তে ঘটনার সত্যতা খুঁজে পায় পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৬৯, ২৭৮, ২৯০, ২৯৪, ২৯৭ এবং ৩৪ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। যদিও ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। দেওয়ানদিঘি থানার এক আধিকারিক বলেন, ‘‘নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনমাফিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’