Multi Speciality hospital

তকমা থাকলেও হাসপাতালে নেই হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ

এই পরিস্থিতিতেও রোগী ‘রেফার’ করার সংখ্যাটি ক্রমে কমছে বলেই দাবি সুপার নিখিলের। তিনি জানাচ্ছেন, এই হাসপাতাল থেকে ২০২১-এ রেফারের সংখ্যা ছিল প্রায় সাড়ে চার হাজার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ০৭ জুন ২০২৩ ০৯:২২
Share:

আসানসোল জেলা হাসপাতাল। নিজস্ব চিত্র।

মাল্টি সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালের তকমা রয়েছে। কিন্তু তার পরেও আসানসোল জেলা হাসপাতালে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ নেই। ফলে হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসার জন্যও ভরসা সাধারণচিকিৎসক। অথবা অন্যত্র চিকিৎসা করাতে যেতে হয়। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের কাছে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ চেয়ে আবেদন করার কথা জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তদ্বির করার আবেদন জানানো হয়েছে জেলা রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটকের কাছেও। তবে বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছেশাসক-বিরোধী তরজা।

Advertisement

আসানসোল জেলা হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর দেড়েক আগে পর্যন্তও চুক্তির ভিত্তিতে এক জন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ছিলেন। কিন্তু তাঁর চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়া তিনি চলে গেলেও তাঁর জায়গায় আর কাউকে দেওয়া হয়নি।এই পরিস্থিতিতেই সমস্যা তৈরি হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে হাসপাতালের সুপার নিখিলচন্দ্র দাস বলেন, “হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ চেয়ে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরকে আর্জি জানানো হয়েছে। কিন্তু চিকিৎসক না পাঠানো হলে, কিছুই করার নেই।”গত শনিবার জেলা হাসপাতালে রোগীকল্যাণ সমিতির বৈঠকে সমিতির চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের মন্ত্রী মলয়ের কাছেও বিষয়টি জানিয়ে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের কাছে তদ্বির করার আবেদন করা হয়েছে বলে নিখিল জানান। পাশাপাশি, হাসপাতালে জেনারেল ডিউটি মেডিক্যাল অফিসার (জিডিএমও) পদে প্রায় ৩২ জন চিকিৎসকের অনুমোদন থাকলেও, আছেন মাত্র পাঁচ জন। ফলে, চিকিৎসা পরিষেবা দিতে খুবই সমস্যায় পড়ছেন বর্তমান ডাক্তারেরা।

Advertisement

এই পরিস্থিতিতে সরব হয়েছেন আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক তথা বিজেপির অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক অগ্নিমিত্রা পাল। তাঁর কথায়, “আসলে এই সরকারদেখানোর উপরেই বেশি জোর দিয়েছে। বিশাল ইমারত বানিয়ে নীল-সাদা রং করেই কাজ শেষ করেছে।”যদিও, অভিযোগে আমল না দিয়ে তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ভি শিবদাসনের প্রতিক্রিয়া, “আগে ওঁরা এমন একটা হাসপাতাল করে দেখান।তার পরে বুঝব।”

তবে এই পরিস্থিতিতেও রোগী ‘রেফার’ করার সংখ্যাটি ক্রমে কমছে বলেই দাবি সুপার নিখিলের। তিনি জানাচ্ছেন, এই হাসপাতাল থেকে ২০২১-এ রেফারের সংখ্যা ছিল প্রায় সাড়ে চার হাজার। ২০২২-এ তা কমে দাঁড়ায় প্রায় তিন হাজার। চলতি বছরে এ পর্যন্ত মাত্র ৫০০ জন রোগীকে রেফার করাহয়েছে। কিন্তু, হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসা রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। বহির্বিভাগে ২০২১ ও ২০২২-এ সেই সংখ্যাটা ছিল যথাক্রমে প্রায় আড়াই লক্ষ ও প্রায় সওয়া তিন লক্ষ। পাশাপাশি, ২০২১-এ অন্তর্বিভাগে ৬৩ হাজারের কিছু বেশি রোগী ভর্তি হয়েছিলেন। ২০২২-এ সেই সংখ্যাটা হয় প্রায় সাড়ে৭১ হাজার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement