বিডিও-র অসারণ চেয়ে বিক্ষোভ কর্মীদের। নিজস্ব চিত্র
বিডিও-র বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতন চালানোর অভিযোগ তুলে ইস্তফা দিয়েছেন ডাটা এন্ট্রি অপারেটর। গত শুক্রবারের সেই ঘটনার পর সোমবার দফতর খুলতেই প্রতিবাদে ফেটে পড়লেন বিডিও-র দফতরের কর্মীরা। বিডিও-র অপসারণের দাবি তুলেছেন তাঁরা। এই ঘটনা ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে।
শুক্রবার ইস্তফা দেন ভাতার পঞ্চায়েত সমিতির ডেটা এন্ট্রি অপারেটর সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ বিডিও তপন সরকারের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার আন্দোলন শুরু করেন দফতরের অন্যান্য কর্মীরা। বুকে কালো ব্যাজ লাগিয়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। বিডিও-র অপসারণের দাবির পাশাপাশি সন্দীপকে কাজে ফেরানোর দাবি তোলেন তাঁরা। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির কাছেও দেওয়া হয় স্মারকলিপিও। বিডিও অফিসের কর্মী প্রদ্যোত চন্দ্রের অভিযোগ, ‘‘বিডিও তপন সরকার প্রায় প্রতিটি কর্মীর উপরেই মানসিক নির্যাতন চালিয়ে আসছেন। তিনি ছুটির দিনে চাপ দিয়ে রাত পর্যন্ত কাজ করান। এমনকি গভীর রাতে ফোন করে বা হোয়াটসআ্যাপে নানা নির্দেশ পাঠান। সেই সঙ্গে অধস্তন কর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। অস্থায়ী কর্মীদের চাকরি থেকে বহিষ্কার করার হুমকিও দেন।’’
মাস দুয়েক আগে ভাতারে বিডিও-র দায়িত্ব নিয়েছেন তপন। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে বিডিও-র দাবি, ‘‘আমি কারও সঙ্গে দুর্ব্যবহার করি না। সরকারি দায়িত্ব পালন করি। এর পরেও আমার বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ দুর্ভাগ্যজনক।’’
আরও পড়ুন: সফল ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি, তা দেখেই ভয় পাচ্ছে বিজেপি: শশী পাঁজা
আরও পড়ুন: ২৩ জানুয়ারি ‘দেশনায়ক দিবস’ ঘোষণা মমতার, ফের জাতীয় ছুটির দাবি