বাউড়ি সমাজের মিছিল আটকাতে পুলিশের পদক্ষেপ। রবিবার দুর্গাপুরে। ছবি: বিকাশ মশান ।
তাঁদের এক নেতাকে থানায় অপমান করা হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে রবিবার দুপুরে দুর্গাপুর সরকারি মহাবিদ্যালয়ের সামনে রাস্তা অবরোধ করল ‘বাউড়ি সমাজ’ নামে একটি সংগঠন। বিক্ষোভকারীরা অনড় থাকায় পুলিশ অবরোধ তুলতে গেলে বচসা শুরু হয়। বাউড়ি সমাজের অভিযোগ, লাঠি চালিয়ে অবরোধকারীদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। পুলিশ যদিও লাঠি চালানোর অভিযোগ মানেনি।
পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, সম্প্রতি এক বালিকাকে নির্যাতনের মামলায় বাউড়ি সমাজের সঙ্গে যুক্ত দুর্গাপুরের এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়। অভিযোগ, তার পরেই, অভিযুক্তের পক্ষ নিয়ে কয়েক জন বালিকার মা’কে মামলা তোলার জন্য চাপ দেন। বিষয়টি থানায় লিখিত ভাবে জানান বালিকার মা। এ দিকে, পুলিশের ওই সূত্রেরই দাবি, বাউড়ি সমাজের জেলা সংগঠনের এক নেতা থানায় গিয়ে বিষয়টি ‘মিটিয়ে নেওয়ার’ প্রস্তাব দেন। পুলিশ আইনি কারণেই, নিয়ম অনুযায়ী তা মানেনি।
এ দিকে, নেতাকে অপমানের অভিযোগ তুলে দুপুরে বাউড়ি সমাজ মিছিল শুরু করে। শুরু হয় অবরোধও। তার জেরে জওহরলাল নেহরু রোডে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ঘটনাস্থলে আসে পুলিশের বড় বাহিনী, কমব্যাট ফোর্স। পুলিশ প্রথমে কথা বলে অবরোধ তোলার চেষ্টা করে। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা অবরোধ তুলতে রাজি হননি। দু’পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হতেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অভিযোগ, এর পরেই পুলিশ লাঠি চালায়। কিছুক্ষণ পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। বিষয়টি নিয়ে বাউড়ি সমাজের তরফে অধীর বাউড়ি সংবাদমাধ্যমের একাংশের কাছে বলেন, “পুলিশ আমাদের জেলা নেতাকে অপমান করেছে। তারই প্রতিবাদ জানাতে এসেছিলাম আমরা। পুলিশ অকারণে আমাদের বেধড়ক লাঠিপেটা করে।”
লাঠি চালানোর অভিযোগ মানেনি পুলিশ। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি (দুর্গাপুর) তথাগত পাণ্ডে বলেন, “বাউড়ি সমাজের নাম করে কয়েক জন রাস্তা অবরোধ করেন। যানবাহন আটকে পড়ে। পুলিশ অনেক বুঝিয়েছে। কাজ না হওয়ায় তাড়া করে এলাকা ফাঁকা করা হয়। কোনও মামলার ঘটনা নিয়ে এই কর্মসূচি ছিল। কিন্তু রাস্তা অবরোধ কেন করা হবে? কয়েক জনকে আটক করা হয়েছে।”
এ দিকে, মমলা তোলার জন্য চাপ দেওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে বাউড়ি সমাজের তরফে অধীরের বক্তব্য, “আমাদের সমাজ কখনও কোনও অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয় না। বরং, আমরা আক্রান্তদের পাশে দাঁড়াই।”