কালনায় মহকুমাশাসকের কার্যালয়ের রাস্তায়। রবিবার। নিজস্ব চিত্র
এলাকা ‘গণ্ডিবদ্ধ’ করার নির্দেশ এসেছে, এমন কোনও খবর মেলেনি। তা সত্ত্বেও কালনায় মহকুমাশাসকের কার্যালয় লাগোয়া এলাকায় চলাফেরার রাস্তায় বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। মহকুমা প্রশাসন সূত্রের দাবি, সাধারণ মানুষের অবাধ আনাগোনা ঠেকাতেই এই সিদ্ধান্ত। তবে এমন সিদ্ধান্তে এলাকায় আতঙ্ক তৈরি হতে পারে, প্রয়োজনীয় কাজে এসে অনেকে সমস্যায় পড়তে পারেন— দাবি শহরবাসীর একাংশের।
পাঁচিলে ঘেরা মহকুমাশাসকের কার্যালয়ে অবাধে প্রবেশ ঠেকাতে দরজার সামনে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজন থাকলে হাত ধোওয়া এবং শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষার পরে কার্যালয়ের দোতলায় ঢোকার অনুমতি মিলছিল। কখনও মহকুমাশাসক সুমনসৌরভ মোহান্তি নিজে নীচে নেমে মুখ্যমন্ত্রীর তহবিলে দেওয়া চেক সংগ্রহ করছিলেন নানা সংগঠন ও ব্যক্তির কাছ থেকে।
মহকুমা প্রশাসন সূত্রের দাবি, এর পরেও নিজের কার্যালয় লাগোয়া এলাকায় ভিড় জমছিল। তাতে উদ্বেগ বাড়ে। মাঝেমাঝে মহকুমাশাসক নিজে পারস্পকির দূরত্ব মানার অনুরোধ করছিলেন মানুষজনকে। রবিবার দুপুরে দেখা যায়, কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় এক প্রান্তে বাঁশ দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। অন্য প্রান্ত সম্পূর্ণ না ঘেরা হলেও বাঁশের দণ্ড রাখা হয়েছে অবাধ যাতায়াত ঠেকাতে। প্রশাসনের একটি সূত্রের দাবি, এই অংশে বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সদস্যেরা থাকবেন। গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজন থাকলে তবেই মহকুমাশাসকের কার্যালয়ে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হবে। একই ভাবে বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে মহকুমাশাসকের কার্যালয়ের কোষাগার এবং হিসাব বিভাগ।
তবে সরকারি কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় এ ভাবে ব্যারিকেড দেওয়ার সিদ্ধান্তে অনেকে অখুশি। তাঁদের দাবি, এর ফলে আতঙ্ক তৈরি হতে পারে এলাকাবাসীর মধ্যে। মহকুমাশাসকের কার্যালয়ের গায়েই রয়েছে আদালত চত্বর। আইনজীবীদের সেরেস্তায় মানুষজনের যাতায়াতে অসুবিধা হবে বলেও অভিযোগ। কালনার আইনজীবীদের একাংশের দাবি, ১২ মে আদালতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ মামলার কাজের জন্য হাজির থাকবেন নানা পক্ষ, পুলিশ আধিকারিক-সহ অনেকেই। রাস্তা বন্ধ থাকলে তাঁদের অসুবিধা হবে বলে মনে করছেন আইনজীবীরা।
গোটা বিষয়টি নিয়ে মহকুমাশাসক সুমনসৌরভ মোহান্তি শুধু বলেন, ‘‘এটি প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত। এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করব না।’’