Mihidana

Mihidana Export: প্রথম বার বিদেশে রফতানি মিহিদানা

বর্ধমানের ওই সংগঠনের সম্পাদক প্রমোদ সিংহের দাবি, ‘‘কার্যত এক দিনের মধ্যে আমরা মিহিদানা তৈরি করে দিয়েছি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৭:০১
Share:

বাহরিনে যাচ্ছে মিহিদানার এই প্যাকেট। নিজস্ব চিত্র

এ বার ভিন্‌দেশে পাড়ি দিল বর্ধমানের মিহিদানা। কেন্দ্রের বাণিজ্য মন্ত্রকের অধীনস্থ ‘এগ্রিকালচার অ্যান্ড প্রসেসড ফুড প্রোডাক্টস এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি’র (অ্যাপেডা) উদ্যোগে বাহরিনের একটি বাণিজ্যিক ভবনে ৩০ কিলোগ্রাম মিহিদানা পাঠাল বর্ধমানের ‘সীতাভোগ-মিহিদানা ট্রেডার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’।

Advertisement

‘অ্যাপেডা’র পূর্বাঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক সন্দীপ সাহা বলেন, ‘‘জানুয়ারি থেকে রফতানির চেষ্টা চলছিল। নানা কারণে রফতানি প্রক্রিয়া পিছিয়ে গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার বাহরিনের পথ ধরল মিহিদানা। নমুনা হিসেবে ৩০ কেজি পাঠানো হয়েছে।’’ তিনি জানান, এখানে মিহিদানায় মিষ্টি ভাব বেশি থাকে। তা কমাতে বলা হয়েছে বর্ধমানের ওই সংগঠনকে। সব ঠিক থাকলে ৫ অক্টোবর বাহরিনেই সীতাভোগ পাঠানো হবে বলে ‘অ্যাপেডা’ সূত্রে জানা গিয়েছে।

বর্ধমানের ওই সংগঠনের সম্পাদক প্রমোদ সিংহের দাবি, ‘‘কার্যত এক দিনের মধ্যে আমরা মিহিদানা তৈরি করে দিয়েছি। ১২ দিন পর্যন্ত মিহিদানার মেয়াদ থাকবে। ‘কোল্ড চেন’ (৪-৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রাখার ব্যবস্থা) করে মিহিদানা পাঠানো হল। বিদেশে রফতানির জন্য বিশেষ প্যাকেট তৈরি করা হয়েছে।’’ সংগঠনের দাবি, সংরক্ষণের মতো প্যাকেট যত দিন না তৈরি হচ্ছে, ‘কোল্ড চেন’ করে পাঠানোর কথাই ভাবা হয়েছে।

Advertisement

কথিত রয়েছে, ১৯০৪ সালে ১৯ অগস্ট লর্ড কার্জন রাজ পরিবারের আমন্ত্রণে বর্ধমানে আসেন। বর্ধমানের মহারাজ বিজয় চাঁদ বিশেষ মিষ্টির বরাত দেন। তখনই বর্ধমানের ব্যবসায়ী সীতাভোগ ও মিহিদানা তৈরি করেন। ২০১৭ সালের ২ এপ্রিল কেন্দ্রীয় সরকার সীতাভোগ ও মিহিদানাকে ‘ভৌগলিক নিদর্শন পণ্য’ (জিআই) হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। গত ২৭ অগস্ট ভারতীয় ডাকবিভাগ ওই দুই মিষ্টির ছবি দিয়ে বিশেষ প্রচ্ছদ করে খাম তৈরি করেছিল। তখনই ডাকবিভাগের তরফে জানানো হয়েছিল, দেশ-বিদেশে বাণিজ্যিক ভাবে এই দুই মিষ্টির কদর বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর পরেই মঙ্গলবার প্রথম বার বিদেশে রফতানি হল মিহিদানা।

সন্দীপবাবু বলেন, ‘‘কাতার ও মালয়েশিয়াতেও ভারতীয় মিষ্টির চাহিদা রয়েছে। ওই দু’টি দেশেও সীতাভোগ-মিহিদানা রফতানির ভাবনা রয়েছে।’’ বর্ধমানের ওই সংগঠনের অন্যতম কর্তা সৌমেন দাস বলেন, ‘‘বর্ধমান শহর সীতাভোগ-মিহিদানার নগরী বলে দেশ-বিদেশে পরিচিতি পাবে, এই স্বপ্ন দেখতাম। ‘জিআই’ তকমা পাওয়ার পরে সেই স্বপ্ন বেড়েছিল। বাহরিন তার দরজাটা খুলে দিল বলা যায়।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement