—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
কিছু ব্যক্তিকে চিকিৎসা পরিষেবা থেকে ‘বঞ্চিত’ রাখার প্রস্তাব সমাজমাধ্যমে দিয়ে বিতর্কে জড়ালেন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের এক চিকিৎসক। সার্জারি বিভাগের আরএমও সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার সমাজমাধ্যমে ডাক দেন, ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টর্স ফোরামের’ তরফে কিছু লোকজনের তালিকা তৈরি করে, জরুরি ছাড়া অন্য চিকিৎসা পরিষেবার বাইরে তাঁদের রাখা হোক। অন্যত্র চিকিৎসা পেলেও, সংগঠনের কেউ যাতে ওই তালিকায় থাকা লোকজনের চিকিৎসা না করেন, এই আবেদন রাখেন তিনি। তাঁর দাবি, এমনটা করা গেলে ‘লোকে ভুলভাল কিছু বলার আগে, একটু হলেও ভাববে’।
এক জন চিকিৎসকের এই রোগী বাছাই করে বয়কটের প্রস্তাবে বিতর্ক বেধেছে। অনেকে সমাজমাধ্যমে প্রশ্ন তুলেছেন, চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার জন্য শপথ নিয়ে চিকিৎসার অধিকার কেড়ে নেওয়ার কথা কী ভাবে বলেন? নাম প্রকাশ না করার শর্তে বর্ধমান মেডিক্যালের সিনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ জানান, রোগীদের ভাল পরিষেবা দেওয়ার জন্যই দু’মাস ধরে আন্দোলনের পর্বেও দিনরাত এক করে পরিষেবা দিয়েছেন তাঁরা। তাই তাঁরা এই বক্তব্যকে সমর্থন করেন না।
বর্ধমান মেডিক্যালের জুনিয়র ডাক্তারদের অনেকেরও দাবি, আন্দোলন করলেও, রোগীদের পরিষেবা দেওয়া নিয়ে গোড়া থেকেই সচেতন থাকা হয়েছে। এক জুনিয়র ডাক্তার, শেখ মহম্মদ সাগিরের কথায়, “আমরা এই বক্তব্যকে কোনও ভাবে সমর্থন করি না। যাঁরা আন্দোলনের সঙ্গে ছিলেন এবং যাঁরা আন্দোলনে ছিলেন না, সবাই আমাদের কাছে সমান। চিকিৎসা পরিষেবায় কোনও দ্বিচারিতা আমরা করিনি, ভবিষ্যতেও করব না।”
বর্ধমান মেডিক্যালের অধ্যক্ষ মৌসুমী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ওই চিকিৎসক সমাজমাধ্যমে কিছু লিখেছেন। আমাদের লিখিত ভাবে কিছু জানাননি। তাই এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না।” ওই ডাক্তার বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।