ধৃতদের আদালতে পেশ করা হচ্ছে নিজস্ব চিত্র।
রাতের অন্ধকারে শাটার ভেঙে ব্যাঙ্কে ঢুকে টাকা লুঠের আগেই পুলিশের হাতে ধরা পড়ল পাঁচ ডাকাত। মঙ্গলবার রাতে পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রসুলপুরে একটি সমবায় ব্যাঙ্কের শাখায় ডাকাতের দল হানা দেয়। কিন্তু ডাকাতি করার আগেই খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছে যায় পুলিশ। কয়েক জন পালিয়ে গেলেও পাঁচ জন ধরা পড়ে।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম সঞ্জু ঘোষ ওরফে গিনি, অভিজিৎ দে, শেখ জাভেদ ওরফে চিকনা, বাপি মণ্ডল ও অভিজিৎ দত্ত। ধৃতরা বর্ধমান থানার রথতলা, ইছলাবাদ, নবাবহাট ও কাঁটাপুকুর এলাকার বাসিন্দা। ধৃতদের কাছ থেকে শাবল-সহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। বুধবার ধৃতদের বর্ধমান আদালতে পেশ করা হলে তাদের সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন সিজেএম।
পুলিশ সূত্রে খবর, শাটার ভেঙে ডাকাতরা ভিতরে ঢুকলে ব্যাঙ্কের আধিকারিক বাড়িতে বসেই তাঁর মোবাইলের সঙ্গে যুক্ত ব্যাঙ্কের সিসিটিভি ক্যামেরা থেকে সেটি জানতে পারেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি মেমারি থানায় খবর দেন। মেমারি থানার ওসি দেবাশিস নাগের নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী দ্রুত ওই ব্যাঙ্কে পৌঁছে যায়। প্রথমেই চার জনকে ধরে ফেলে পুলিশ। পরে আরও এক ডাকাত ধরা পড়ে।
এই প্রসঙ্গে মহকুমা পুলিশ আধিকারিক আমিনুল ইসলাম খান বলেন ,“ডাকাত দলটি মঙ্গলবার গভীর রাতে সমবায় ব্যাঙ্কে ডাকাতির জন্য হানা দিয়েছিল। ব্যাঙ্কের এক আধিকারিক থানায় খবর দেন। মেমারি থানার পুলিশ দ্রুত ওই ব্যাঙ্কে পৌঁছে পাঁচ জনকে ধরে ফেলে। ওই ডাকাত দলের বাকিদের সন্ধান চালানো হচ্ছে।’’
সমবায় ব্যাঙ্কের আধিকারিক পার্থ দে জানান, কিছু দিন আগে ওই এলাকার একটি গ্রামীণ ব্যাঙ্কে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল। তার পর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে তাঁদের সমবায় ব্যাঙ্কে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়। তার জন্যই ডাকাতি রোধ করা গিয়েছে। পুলিশ দ্রুত ব্যাঙ্কে পৌঁছে যাওয়ায় ডাকাতরা কিছু লুঠ করতে পারেনি বলেই জানিয়েছেন তিনি।