নিজস্ব চিত্র।
মাস দুই আগে একটি গাছের নীচে অসুস্থ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তাকে বাড়িতে এসে নিয়ে সেবা-শুশ্রুষা করে সুস্থ করে তুলেছিলেন রাজীব। এই থেকেই প্রেমের সূত্রপাত। পূর্ব বর্ধমানের বালিজুড়ি গ্রামে রাজীব-মিঠুর প্রেমকাহিনি এখন রীতিমতো চর্চার বিষয়। যেখানে পুরুষ চরিত্রে রাজীব মণ্ডল থাকলেও নারী চরিত্রের মিঠু আদতে একটি শালিক পাখি।
ভালবেসে শালিক পাখিটির নাম রেখেছেন মিঠু রাজীব। কাজের জায়গা থেকে হাট-বাজার- রাজীব যেখানেই তিনি যান না কেন, মিঠু তাঁর সর্ব ক্ষণের সঙ্গী। তাকে সব সময়ে রাজীবের কাঁধেই দেখা যায়। রাজীবের সেবায় সুস্থ হয়ে ওঠার পরও নিজের সহায়ক পরিবেশে ফিরে যায়নি সে। রাজীব বলেন, ‘‘মিঠু পাখি হতে পারে, কিন্তু নিজের উপলব্ধি দিয়ে আমি বুঝেছি, ওরাও মানুষের মতোই সব কিছু বুঝতে পারে। জীবন বাঁচানোর প্রতিদান দিতে ওরাও জানে।’’
খাওয়া-দাওয়া নিয়েও বিশেষ ঝঞ্ঝাট নেই। রাজীব বলেন, ‘‘ভাত, মুড়ি, বিস্কুটেই সন্তুষ্ট মিঠু।’’ মাঝে মাঝে তার সঙ্গে কথাও বলে রাজীব। স্থানীয়দের দাবি, তারা না কি একে অপরের ভাষা বোঝে। তাদের নির্ভেজাল প্রেম দেখতে বাড়িতে লোকের আনাগোনা লেগেই থাকে, জানাচ্ছেন রাজীব।