আসানসোলে সুদীপ্ত সেন। নিজস্ব চিত্র
একটি বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার কর্ণধার সুদীপ্ত সেনকে বিচারক প্রায় ন’বছর আগে জামিন দিয়েছিলেন। কিন্তু জামিনের নির্দেশ অনুযায়ী, শর্ত হিসেবে যে টাকা দিতে হত, তা দেননি সুদীপ্ত। সোমবার ফের সুদীপ্তকে আসানসোল আদালতে তোলা হয়। তিনি আদালতে জানান, টাকা দিতে পারবেন না। তার পরে, ডিস্ট্রিক্ট লিগাল সার্ভিসেস অথরিটি ‘পার্সোনাল রিলিজ় বন্ড’ দিলে সুদীপ্তের ওই পাঁচটি মামলায় জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক।
সরকার পক্ষের আইনজীবী তাপস উকিল জানান, সুদীপ্তের বিরুদ্ধে ২০১৩-র ২৮ এপ্রিল আসানসোল উত্তর ও দক্ষিণ, সালানপুর, রানিগঞ্জ ও চিত্তরঞ্জন থানায় আর্থিক প্রতারণার মোট পাঁচটি অভিযোগ দায়ের করেন লগ্নিকারীরা। ওই বছরই ২৩ ডিসেম্বর পাঁচটি মামলার শুনানি হয় আসানসোলের আদালতে। সেখানে সুদীপ্তকে পাঁচটি মামলার প্রতিটির জন্য দু’হাজার টাকা করে মোট ১০ হাজার টাকার ‘বেল বন্ড’-এ জামিন দেন বিচারক। কিন্তু তার পরে, সুদীপ্ত সেই টাকা আদালতে জমা করতে পারেননি। ফলে, তাঁর জামিনের নির্দেশ দেওয়া হলেও, তা মঞ্জুর হয়নি।
এই পরিস্থিতিতে এ দিন সুদীপ্তকে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে সকাল সাড়ে ১১টায় আসানসোল আদালতের ১ নম্বর অতিরিক্ত দায়রা বিচারক মনোজ প্রসাদের এজলাসে তোলা হয়। সুদীপ্ত বিচারকের কাছে জানান, তিনি বর্তমানে কপর্দকশূন্য। তাই জামিনের শর্ত হিসেবে থাকা দশ হাজার টাকা দিতে পারবেন না। বিচারকের কাছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জিও জানান তিনি।
এর পরেই, বিচারক ‘ডিস্ট্রিক্ট লিগাল সার্ভিসেস অথরিটি’-র আসানসোলের আইনজীবী এনামুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেন। এনামুল বলেন, “অভিযুক্ত বেল বন্ডের দশ হাজার টাকা আদালতে জমা দিতে পারবেন না। তাই আমি অভিযুক্তের হয়ে পার্সোনাল রিলিজ় বন্ড নিয়েছি।”
তবে এ দিন সুদীপ্ত সংবাদমাধ্যমের সামনে কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি। আইনজীবীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যে সুদীপ্তের বিরুদ্ধে প্রায় ২৮৫টি মামলা রয়েছে। এ দিন আদালত থেকে ফের সুদীপ্তকে নিয়ে যাওয়া হয় প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে।