বিক্ষোভ অটো চালকদের। আসানসোলে শনিবার। নিজস্ব চিত্র
সিএনজি-র আকাল। এমনই অভিযোগ করে নিজেদের সমস্যার কথা জানিয়েছেন পশ্চিম বর্ধমান জেলার সিএনজি চালিত অটোর চালকেরা। শনিবার আসানসোলের অটো চালকেরা অভিযোগ করেন, গত তিন দিন ধরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সরবরাহ কেন্দ্রে অপেক্ষা করেও পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্যাস মিলছে না। ফলে, গ্যাসের অভাবে রাস্তা অটো নামানো যাচ্ছে না। সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরাও।
অটো চালকেরা এ দিন আসানসোলের সেনর্যালে রোড লাগোয়া একটি সরবরাহ কেন্দ্রে গ্যাস ভরাতে গিয়ে জানতে পারেন, গ্যাস নেই। এর পরেই বিক্ষোভ শুরু হয়। সেখানে নেতৃত্ব দেন তৃণমূল প্রভাবিত ‘মোটর ট্রান্সপোর্ট ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন’-এর নেতা রাজু অহলুওয়ালিয়া। একই ছবি দেখা যায়, শহরের অন্য গ্যাস সরবরাহ কেন্দ্রগুলিতেও। অটো চালক প্রদীপ মণ্ডল বলেন, ‘‘লকডাউনের জেরে গত প্রায় তিন মাস বসে। এ বার গ্যাস না পেয়ে অটো চালাতে পারছি না।’’ শেষমেশ, পুলিশের হস্তক্ষেপে সেনর্যালের ওই কেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক
করা হয়।
শুক্রবার থেকে সিএনজি-র আকাল দেখা দেওয়ায় সমস্যায় পড়েন দুর্গাপুরের অটো চালকেরাও। তাঁরা জানান, এই মুহূর্তে শহরে আড়াই হাজারেরও বেশি সিএনজি চালিত অটো রয়েছে। অটো চালক সুমিত দাস, গোপাল দে-রা বলেন, ‘‘গ্যাস না মিললে অটো চালানো যাবে না। তেল কিনে অটো চালানো সম্ভব নয়। কারণ, তেমন যাত্রী হচ্ছে না। অথচ, সিটি সেন্টার ও মেনগেটের দু’টি পাম্পের ফিলিং স্টেশন থেকেই গ্যাস পেতে চূড়ান্ত হয়রান হয়ে হয়েছে।’’ পেট্রল পাম্পগুলির যদিও দাবি, গ্যাস একেবারে অমিল, এমন নয়।
তা হলে কেন এমন সমস্যা? সিটি সেন্টারের পেট্রল পাম্পটির কর্ণধার বিশ্বদীপ রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘লকডাউন ওঠার পরে দিন দিন অটোর সংখ্যা বাড়ছে। সরবরাহ ও জোগানের ঘাটতি থাকছে। ফলে, সাময়িক সমস্যা হচ্ছে। আসানসোল থেকে গ্যাসের ট্যাঙ্কার আসছে। তবে আরও ট্যাঙ্কার দরকার।’’
আসানসোলের গ্যাস উত্তোলক সংস্থাটি জানায়, উত্তোলনের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হয়নি। তবে যে ঠিকা সংস্থার তরফে গ্যাসের সরবরাহ করা হয় তাদের তরফে কোনও সমস্যা হয়ে থাকতে পারে। দ্রুত তা মেটানো হবে।
এ প্রসঙ্গে অতিরিক্ত জেলাশাসক (পরিবহণ) প্রশান্ত মণ্ডল বলেন, ‘‘বিষয়টি আমার জানা নেই। আমাকে জানানো হলে অবশ্যই পদক্ষেপ করা হবে।’’