দুর্ঘটনার পরে। নিজস্ব চিত্র
আগেও বারবার দুর্ঘটনা, অবরোধ হয়েছে ২বি জাতীয় সড়কে, আউশগ্রামের কয়রাপুরে। পরিস্থিতি সামলাতে ন’টি হাম্প বসানো হয়। তার পরেও বুধবার সকালে ওই রাস্তায় পাথরবোঝাই ডাম্পারের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক যুবকের।
সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ ঘটনাস্থলে বুদ্ধ দত্তের (২২) মৃত্যুর পরেই বিক্ষোভ শুরু করেন এলাকার বাসিন্দারা। পুলিশ গেলে বিক্ষোভ বাড়ে। ঘণ্টা দেড়েক অবরোধ হয়। ছবি তুলতে গেলে দুই সাংবাদিককে হেনস্থা করা হয় বলেও অভিযোগ। যানজটও হয় ২বি জাতীয় সড়কে। পরে পুলিশের আশ্বাসে বিক্ষোভ ওঠে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, মাস তিনেক আগেই ওই এলাকায় স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল পঞ্চম শ্রেণির এক পড়ুয়ার।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত বুদ্ধবাবু ইটভাটার শ্রমিক ছিলেন। কয়রাপুরেরই বাসিন্দা তিনি। এ দিন সাইকেল নিয়ে বাজার থেকে খাবার কিনে বাড়ি ফেরার পথে কয়রাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের কাছে রাস্তার বাঁকে দুর্ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ডাম্পারটি বেপরোয়া গতিতে চলছিল। মুখোমুখি ধাক্কায় ওই যুবক ডাম্পারের চাকার নীচে পিষে যান। পালিয়ে যায় ডাম্পারটি। বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, পরপর বাঁক থাকাতেই বারবার দুর্ঘটনা ঘটে ওই রাস্তায়।
দুর্ঘটনা রুখতে সম্প্রতি জাতীয় সড়কের উপর ওই এলাকায় উঁচু উঁচু প্রায় ন’টি হাম্প করে দেওয়া হয়। কিন্তু জাতীয় সড়কের উপর হাম্প তৈরি নিয়ে বিতর্ক ওঠায় সম্প্রতি পুলিশের তরফে খান দু’য়েক হাম্প তুলে দেওয়া হয়। এ দিনের দুর্ঘটনায় বেপরোয়া যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, যান নিয়ন্ত্রণে ট্র্যাফিক পুলিশ মোতায়েনের দাবি জানানো হলেও তা করা হচ্ছে না।
পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, “একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এক জন মারা গিয়েছেন। পুরোটাই অত্যন্ত দুঃখজনক। পুলিশ ঘাতক গাড়িটিকে আটক করেছে। অভিযোগ দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে।’’ তাঁর দাবি, দুর্ঘটনা কমাতে চালকদের পাশাপাশি পথচারীদের আরও সচেতন হতে হবে। এ ব্যাপারে সামগ্রিক পর্যালোচনা করার দরকার আছে। হাম্পের বিষয়টি জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের দেখার কথা বলেও জানান তিনি।