জেল থেকে মুক্তি পেলেন আসানসোলের বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। — ফাইল ছবি।
কলকাতা হাই কোর্টে জামিনের সমস্ত কাগজপত্র জমা দেওয়ার পর আসানসোল আদালত জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে ছেড়ে দিয়েছে। তাঁকে আসানসোল সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে দুপুরের পর বিজেপি নেতাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
সোমবারই কলকাতা হাই কোর্টে শর্তসাপেক্ষে জামিন পেয়েছেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। জিতেন্দ্রকে জামিনের নির্দেশ দিয়ে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ যে তিনটি শর্ত দিয়েছে, সেগুলি হল— এক, আপাতত আসানসোলে ঢুকতে পারবেন না জিতেন্দ্র। দুই, যেখানে থাকবেন, সেখানকার সংশ্লিষ্ট থানায় সপ্তাহে ১ দিন হাজিরা দিতে হবে তাঁকে। তিন, সাক্ষীদের হুমকি দেওয়া যাবে না। পাশাপাশি, মামলা চলাকালীন জিতেন্দ্রকে পুরোপুরি সহযোগিতা করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
১৪ দিনের জেল হেফাজতের পর মঙ্গলবার আসানসোল সিজেএম আদালতে জিতেন্দ্রকে হাজির করানোর কথা ছিল। সেই মতো মঙ্গলবার সকালে তিনি আসানসোল সিজেএম আদালতে আসেন এবং কোর্টে ঢোকার মুখে বলেন, ‘‘আমি আসানসোলের জন্য মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করেছিলাম, আর ওঁরা আমাকে প্রেসিডেন্সি জেলে পাঠানোর মাস্টারপ্ল্যান করলেন!’’ শুনানির সময় জিতেন্দ্রের জামিনের যে নথি ছিল তা জমা করা হয়। উচ্চ আদালত যে হেতু তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছে, তাই নিম্ন আদালত সেই রায়কেই বহাল রাখে। জিতেন্দ্রকে সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়ার পর তাঁকে জামিনে মুক্ত করা হয়। জানা যাচ্ছে, তিনি আপাতত দুর্গাপুরে যাবেন। অন্য দিকে ২০২২-এর জানুয়ারিতে তাঁর বিরুদ্ধে একটি মামলা ছিল। সেই মামলারও শুনানি হয়। সেই মামলাতেও জামিন পেয়েছেন বিজেপি নেতা।
গত ১৮ মার্চ নয়ডা থেকে জিতেন্দ্রকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তার পর কিছু দিন পুলিশি হেফাজতে ছিলেন তিনি। আসানসোল জেল থেকে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল প্রেসিডেন্সি জেলে। এই ঘটনাপ্রবাহের ২২ দিনের মাথায় সোমবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি পার্থসারথি সেনের ডিভিশন বেঞ্চ তিনটি শর্ত-সহ ৫০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে তাঁর জামিন মঞ্জুর করে।