—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
শীতের মরসুমে খোলা জায়গায় আগুন পোহানো বাতাসের গুণমান রক্ষায় মূল অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার ‘সিটি লেভেল ইমপ্লিমেন্টেশন’ কমিটির বৈঠকে এই বিষয়টি তুলে ধরেছেন সদস্যেরা। পাশাপাশি, আসানসোলের একাধিক ওয়ার্ডে স্বচ্ছতা অভিযানের ‘ব্যর্থতা’র প্রসঙ্গটিও তাঁরা তুলে ধরেন। কী ভাবে এই অবস্থার বদল হবে, তা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয় বলে জানিয়েছেন আসানসোল পুরসভার কার্যনির্বাহী আধিকারিক আকাঙ্খা ভাস্কর।
পুরসভার উদ্যোগে বৈঠকটি হয়। বৈঠকে একাধিক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার প্রতিনিধিরাও যোগ দেন। জানা গিয়েছে, শুরুতেই দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তরফে ডিসেম্বরে আসানসোলে বাতাসের গুণমান নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করা হয়। তবে, জানুয়ারি নিয়ে পর্ষদের তরফে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। পর্ষদের দাবি, জানুয়ারিতে ঠান্ডায় শহরের বিভিন্ন অঞ্চলে খোলাস্থানে খড়কুটো ও কয়লা জ্বালিয়ে আগুন পোহানোর জন্যই বায়ুর গুণমান নষ্ট হচ্ছে। পর্ষদের আসানসোল শাখার মুখ্য ইঞ্জিনিয়ার সুদীপ ভট্টাচার্য বলেন, “সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ক্রমাগত খোলাস্থানে আগুন জ্বালানো হচ্ছে। এর ধোঁয়ায় ঢেকে যাচ্ছে আশপাশের এলাকা। বার বার সচেতন করা হলেও, কারও হেলদোল নেই।” সুদীপ জানান, বাতাসের গুণমান বজায় রাখতে শহরের কোথাও খোলাস্থানে আগুন জ্বালানো যাতে না হয়, তা নিশ্চিত করতে ড্রোনে নজরদারি চালানো হচ্ছে। সময়ে সময়ে তার রিপোর্টও পুর কর্তৃপক্ষের কাছে জমা করা হচ্ছে। আকাঙ্খা ভাস্কর বলেন, “শীতের মরসুমে খোলাস্থানে আগুন পোহানোর প্রবণতা আছে। তা বন্ধ করতে কিছু পদক্ষেপ করা হচ্ছে। আশা করি তা বন্ধ হবে।”
আসানসোল জেলা হাসপাতালের সুপার নিখিলচন্দ্র দাস জানান, শীতে কুয়াশার প্রকোপ থাকে। তাই খোলা জায়গায় আগুন পোহানো হলে ধোঁয়া কুয়াশার চাপে বেশি উপরে উঠতে পারে না। ফলে, কার্বন ডাইঅক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইডের মতো বিষাক্ত গ্যাস নীচে ঘোরাফেরা করে। যার ফলে শ্বাসকষ্ট ও চোখজ্বালা হতে পারে। তাই এই প্রবণতা বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।
বৈঠকে আবর্জনা সাফাই নিয়েও আলোচনা হয়। মেয়র বিধান উপাধ্যায় জানান, শহরবাসীর কাছে আবেদন করা হয়েছে, ঘরের আবর্জনা যেন দরজার সামনে রাখা হয়। সাফাইকর্মীরা সেগুলি তুলে নিয়ে যাবেন।
নিজস্ব সংবাদদাতা