Arnab Dam

গবেষণার সুযোগ পেলেন বন্দি অর্ণব

সম্প্রতি পুলিশের নিরাপত্তায় তাঁকে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পিএইচডি’র ইন্টারভিউ দেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২৪ ০৮:৩২
Share:

ধৃত মাওবাদী নেতা অর্ণব দাম ওরফে বিক্রম। —ফাইল চিত্র।

Advertisement

বাম জমানার শেষ দিকে শিলদায় ইএফআর ক্যাম্পে মাওবাদী হামলার ঘটনায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত সিপিআই (মাওবাদী) দলের অন্যতম রাজ্য শীর্ষ নেতা অর্ণব দাম পিএইচডি করার সুযোগ পেলেন। এখন হুগলি জেলে বন্দি রয়েছেন অর্ণব।

সম্প্রতি পুলিশের নিরাপত্তায় তাঁকে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পিএইচডি’র ইন্টারভিউ দেন তিনি। শুক্রবার সফলদের তালিকা প্রকাশিত হয়। প্রথম নামটি অর্ণবের বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের প্রধান সৈয়দ তনভীর নাসরিনের কথায়, ‘‘শুধু বর্ধমান নয়, সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছেই বিষয়টি মডেল। ওঁর ইচ্ছাপূরণে সরকার যে ভাবে পাশে দাঁড়িয়েছে তা-ও সমান ভাবে উল্লেখযোগ্য।’’ বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, পিএইচডির জন্য ইন্টারভিড দিয়েছিলেন ২৫০ জন। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি’র আসন সংখ্যা ৯টি।

Advertisement

পশ্চিমবঙ্গ গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা সমিতির (এপিডিআর) সাধারণ সম্পাদক রঞ্জিত শূর বলেন, ‘‘অর্ণব এখন হুগলি জেলে নানা বিষয় নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। বিভিন্ন দাবিতে মিল বয়কট করছেন। অর্ণবের দাবি, জেল কর্তৃপক্ষ ওঁকে সংশোধনাগারে কাজ দিয়েছেন। যদিও সেই কাজের প্রথম তিন মাসের মজুরি ওঁকে দেওয়া হয়নি। বকেয়া মজুরি মেটানোর দাবি জানিয়েছেন
তিনি।’’ রঞ্জিত জানান, এ ছাড়াও সংশোধনাগারে চিকিৎসা ব্যবস্থা বলতে কিছু নেই বলে দাবি অর্ণবেব। বন্দিদের জন্য ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসকের ব্যবস্থা করার দাবি তুলেছেন তিনি। রঞ্জিতের দাবি, ‘‘ধারণ ক্ষমতার তুলনায় জেলে বন্দির সংখ্যা অনেক বেশি। সেই সংখ্যা কমাতে হবে। বন্দির সংখ্যা বেশি হওয়ায় জেলে খাবারের মান ও অন্য প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা ঠিক মতো মিলছে না বলে দাবি অর্ণবের। পিএইচডির জন্য অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে যে আবেদন তিনি করেছেন, সেগুলি নিয়েও জেল কর্তৃপক্ষ যাতে তদবির করেন, সেই দাবিও তুলেছেন অর্ণব।’’

এই সব দাবিতে গত শুক্রবার থেকে তিনি ‘খাবার বয়কট আন্দোলন’ চালিয়ে যাচ্ছেন অর্ণব। রঞ্জিত বলেন, ‘‘জেল কর্তৃপক্ষ ওঁর এই দাবিগুলি মেনে নিক। ওঁকে নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়া হোক, যাতে গবেষণার কাজ অর্ণব চালিয়ে যেতে পারেন।’’ জেল কর্তৃপক্ষ অবশ্য অভিযোগগুলি মানতে চাননি। এ দিনই হুগলি জেলে এপিডিআর এর দল গিয়ে দাবি মানার জন্য জেল সুপারের কাছে ডেপুটেশন
দিয়ে এসেছে।

উল্লেখ্য, সাজা শোনানোর সময়ে আদালত অর্ণবের কাছে তাঁর ইচ্ছার কথা জানতে চেয়েছিলেন। তিনি পিএইচডি করতে ইচ্ছুক বলে আদালতে জানিয়েছিলেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement