Application

নাম নথিভুক্তি বন্ধ, তবু আবেদন

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার আদিবাসী জমায়েতের পরে ৯৮৬ জন অতিরিক্ত জেলাশাসকের (সাধারণ) কাছে লোকপ্রসার প্রকল্পের অন্তর্ভুক্তির দাবি জানিয়ে ফর্ম জমা করেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০২০ ০১:৩৯
Share:

প্রচারের ব্যানার। নিজস্ব চিত্র

গত সাত দিনে দু’বার বর্ধমানের প্রাণকেন্দ্র কার্জনগেট চত্বরে জমায়েত করেছেন জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষজন। আদিবাসী সংগঠন ‘ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহল’-এর সদস্যদের দাবি ছিল, রাজ্যের লোকপ্রসার প্রকল্পে তাদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। শুধু দাবি নয়, রীতিমতো ইন্টারনেট থেকে ফর্ম নামিয়ে পূরণ করে জেলা প্রশাসনের কাছে তা জমাও করেন তাঁরা। কিন্তু পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসনের দাবি, প্রায় চার বছর আগে এই প্রকল্পের নাম নথিভুক্তি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু মানুষ বিভ্রান্ত হয়ে আবেদন করছেন। বিভ্রান্তি কাটাতে বুধবার শহরের বিভিন্ন জায়গায় জেলা তথ্য সংস্কৃতি দফতরের তরফে ব্যানার দেওয়া হয়।

Advertisement

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার আদিবাসী জমায়েতের পরে ৯৮৬ জন অতিরিক্ত জেলাশাসকের (সাধারণ) কাছে লোকপ্রসার প্রকল্পের অন্তর্ভুক্তির দাবি জানিয়ে ফর্ম জমা করেছেন। প্রতিদিন জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরেও ফর্ম জমা করতে আসছেন অনেকে। প্রকল্পের টাকা পাওয়ারও দাবি করছেন। মঙ্গলবারও একই দাবিতে বিক্ষোভ হয়। অনেকে আদালত চত্বরে এসে দলিল লেখকদের কাছ থেকে পয়সা খরচা করে ফর্মও নিচ্ছেন। কিন্তু সবাইকে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাতে বাড়ছে ক্ষোভ। জেলা প্রশাসনের দাবি, ২০১৭ সালের মে মাসে তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রধান সচিবের নির্দেশ মেনে এই লোকপ্রসার প্রকল্পের নাম নথিভুক্তি এবং ফর্ম দেওয়া সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। কিন্তু তা না জানায় মানুষ আবেদন করেই চলেছেন।

জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের দাবি, মানুষ কোনও ভাবে বিভ্রান্ত হচ্ছেন। ফলে, এক দিকে তাঁদের হয়রানি হচ্ছে, অন্য দিকে পয়সা খরচ হচ্ছে। তাঁদের সতর্ক করতে শহরে প্রচার করা হয়েছে। তৃণমূলের রাজ্যের মুখপাত্র তথা আদিবাসী নেতা দেবু টুডু বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার আদিবাসী শিল্পীদের নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে। তাঁদের জন্য প্রকল্প এলে, তা জানানো হবে। সেজন্য প্রশাসনের কাছে ধর্না দিতে হবে না।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement