Anubrata Mondal: জেলে জেরায় ১৫ প্রশ্নের মুখোমুখি অনুব্রত, কেষ্টর দেখানো ‘চুপ’পথেই হাঁটলেন অনুগত সেহগল

প্রথমে জেরা করা হয় সহগল হোসেনকে। এর পর জেরা করা হয় অনুব্রত মণ্ডলকে। দুজনের কেউই কোনও প্রশ্নের উত্তর দেননি বলে সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০২২ ১৫:১৪
Share:

অনুব্রত মণ্ডল ও সহগল হোসেনকে সিবিআইয়ের জেরা। — ফাইল চিত্র।

গরু পাচার-কাণ্ডে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (সিবিআই)-এর আধিকারিকদের জেরার সামনে মুখে কুলুপ এঁটেছেন অনুব্রত মণ্ডল। একই আচরণ অনুব্রতের প্রাক্তন দেহরক্ষীর সহগল হোসেনরও। মঙ্গলবার আসানসোল সংশোধনাগারে গিয়ে এমনই পরিস্থিতির মুখে পড়েন সিবিআই আধিকারিকরা। এমনটা জানা গিয়েছে সিবিআই সূত্রে। প্রথমে জেরা করা হয় সহগলকে। এর পর অনুব্রতকে।

Advertisement

মঙ্গলবার অনুব্রত এবং কেষ্টকে আলাদা ভাবে জেরা করার জন্য আসানসোল সংশোধনাগারে গিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। বেলা ১২টা নাগাদ পৌঁছন তাঁরা। কেষ্টর মেয়ে, তাঁর প্রাক্তন দেহরক্ষী সহগল-সহ অনেকের নামে বেশ কিছু সম্পত্তির হদিস পাওয়া গিয়েছে। সিবিআই আধিকারিকদের জেরার উদ্দেশ্য ছিল অনুব্রতের মেয়ে এবং তাঁর ঘনিষ্ঠদের সম্পত্তির উৎস-সহ একাধিক প্রশ্নের উত্তর জেনে নেওয়া। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁদের প্রশ্নের সামনে অনুব্রত মুখ খোলেননি। কেষ্টকে মোট ১৫টি প্রশ্ন করেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। সিবিআই সূত্রে দাবি, তাঁদের একটির প্রশ্নেরও উত্তর দেননি অনুব্রত। মঙ্গলবার চার সিবিআই আধিকারিকের একটি দল পৌঁছয় আসানসোল সংশোধনাগারে। এক জন আধিকারিক অনুব্রতকে জেরা করতে সংশোধনাগারে যান। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই আধিকারিকের সঙ্গে খুবই ভাল আচরণ করেন অনুব্রত। তাঁর স্বাস্থ্য সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তরও দেন। কিন্তু যখনই গরু পাচার-কাণ্ড নিয়ে তাঁকে জেরা শুরু করা হয় তখনই মুখে কুলুপ আঁটেন কেষ্ট।

মঙ্গলবার কেষ্টর প্রাক্তন দেহরক্ষী সহগলকেও জেরা করে সিবিআই। তাঁর কাছে ১৫টি প্রশ্নের উত্তর জানতে চাওয়া হয়। কিন্তু কেষ্টর মতো সহগলও কোনও প্রশ্নের উত্তর দেননি বলে সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে। এর পর অবশ্য সিবিআইয়ের জেরা-পর্ব আর এগোয়নি। বেলা ১টার সামান্য পরে সংশোধনাগার থেকে বেরিয়ে যান সিবিআই আধিকারিকরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement