Coronavirus

করোনা-আক্রান্ত আরও ১৪, বাড়ি ফিরলেন দু’জন

কাটোয়া শহরের আদর্শপল্লি এলাকায় এক করোনা আক্রান্তের হদিস মিলতেই বুধবার রাতে পুলিশ ‘সিল’ করে দেয় পাড়া।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০২০ ০০:৪৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

পূর্ব বর্ধমান জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ল আরও ১৪ জন। বৃহস্পতিবার জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৭১।

Advertisement

এ দিন হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়ি ফিরেছেন আউশগ্রামের দু’জন। আউশগ্রাম ১ ব্লকের উক্তা পঞ্চায়েতের গঙ্গারামপুরের বছর উনিশের এক যুবকের দিন দশেক আগে করোনা ধরা পড়ে। তাঁর কিডনির সমস্যা ছিল। তাঁকে কলকাতায় ডায়ালিসিসের সুবিধাযুক্ত একটি হাসপাতালে পাঠানো হয় প্রশাসনের তরফে। সেখান থেকে বুধবার রাতে তিনি বাড়ি ফিরলে এলাকাবাসীর একাংশ ফুল দিয়ে স্বাগত জানান। চেন্নাই থেকে ফেরা আউশগ্রাম ২ ব্লকের অমরপুরের বেলেমাঠের এক পরিযায়ী শ্রমিকের করোনা ধরা পড়ায় তাঁকে দুর্গাপুরের ‘কোভিড’ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। তিনিও এ দিন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এলাকার লোকজন ফুল ছড়িয়ে, হাততালি দিয়ে তাঁকে স্বাগত জানান। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’জনকেই বাড়িতে নিভৃতবাসে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

কাটোয়া শহরের আদর্শপল্লি এলাকায় এক করোনা আক্রান্তের হদিস মিলতেই বুধবার রাতে পুলিশ ‘সিল’ করে দেয় পাড়া। দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ ক্ষোভ জানাতে থাকেন। তাঁদের দাবি, আক্রান্ত যুবক ৯ দিন শ্রীখণ্ডে ‘কোয়রান্টিন’ কেন্দ্রে ছিলেন। বুধবার সকালে বাড়িতে ফেরেন। তার পরেই তাঁর করোনা-পরীক্ষার রিপোর্ট আসে। তার আগেই কেন ‘কোয়রান্টিন’ কেন্দ্র থেকে ওই যুবককে ছেড়ে দেওয়া হল, প্রশ্ন তাঁদের। দিলীপ দেবনাথ, শঙ্কর দেবনাথদের দাবি, ‘‘আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছি আমরা।’’ এই অভিযোগ নিয়ে প্রশাসন বা স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিক্রিয়া মেলেনি। মহকুমাশাসক (কাটোয়া) প্রশান্তরাজ শুক্ল শুধু বলেন, ‘‘আক্রান্ত যুবকের পাড়া ‘সিল’ করা হয়েছে। পরিস্থিতির উপরে নজর রাখা হচ্ছে।’’

Advertisement

কাটোয়া মহকুমা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের কাছে করোনা আক্রান্তের বাড়ি। ওই অফিস বন্ধ করা হয়েছে। মহকুমা ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক বীরেন্দ্রনাথ দাস বলেন, ‘‘কাছেই করোনা আক্রান্তের সন্ধান মেলায় আমরা অফিস বন্ধ করেছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে অফিস খোলা হবে।’’ ‘লকডাউন’ শিথিল হতেই কাটোয়ার নানা রাস্তায় ভিড় দেখা দিয়েছিল। কিন্তু করোনা-আক্রান্তের খবর মিলতেই বৃহস্পতিবার তা অনেকটা কমে যায়।

এ দিন যাঁদের করোনা-রিপোর্ট ‘পজ়িটিভ’ এসেছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কালনা মহকুমার দু’জন। কালনা মহকুমা হাসপাতাল সুপার কৃষ্ণচন্দ্র বরাই জানান, জিউধারার এক যুবকের রিপোর্ট ‘পজ়িটিভ’ আসায় তাঁকে দুর্গাপুরের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পূর্বস্থলী ২ ব্লকের এক পরিযায়ী শ্রমিকের রিপোর্ট ‘পজ়িটিভ’ আসার খবর পেয়ে এলাকায় যান ব্লক স্বাস্থ্য দফতর ও পঞ্চায়েত সমিতির কর্তারা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement