পূর্বস্থলীর পশ্চিম আটপাড়া অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। নিজস্ব চিত্র ।
কয়েক বছর আগে ঝড়ে টিনের চাল উড়ে যাওয়ার পরে নতুন করে ছাউনি তৈরি হয়নি। ফলে খোলা আকাশের নীচেই পড়াশোনা করে পূর্বস্থলী ২ ব্লকের মাজিদা পঞ্চায়েতের পশ্চিম আটপাড়া অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ছাত্রছাত্রীরা। এই কেন্দ্রের শিক্ষিকা অন্য আরও একটি কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকায় তাঁর পক্ষে সব দিন এখানে পৌঁছনো সম্ভব হয় না বলেও দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদেরা। কেন্দ্রের পরিকাঠামো নিয়ে ক্ষুব্ধ তাঁরা।
ছ’মাস থেকে তিন বছর পর্যন্ত পড়ুয়ারা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে আসে। পড়াশোনার পাশাপাশি তাদের পুষ্টিকর খাবার দেওয়া হয়। এলাকার বাসিন্দারা জানান, কেন্দ্রটির একটি ঘরে রান্না হয়। লাগোয়া একটি টিনের ছাউনির ঘর ছিল পড়ুয়াদের জন্য। তবে সে ছাউনি উড়ে গিয়েছে অনেক দিন। ঝড় জলের দিনে বাচ্চাদের নিয়ে আসা যায় না। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে কেন্দ্রটির ছাউনির ব্যবস্থা করা উচিৎ প্রশাসনের। এ ছাড়াও এক জন শিক্ষিকার দু’জায়গায় দায়িত্ব নিয়েও ক্ষোভ রয়েছে। কেন্দ্রের শিক্ষিকা গীতশ্রী মণ্ডলের বক্তব্য, “ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এই কেন্দ্রের সঙ্গে কোমলনগরেও একটি কেন্দ্রের দায়িত্ব সামলাচ্ছি। যতটুকু করার করি।” পূর্বস্থলী উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় জানান, ক্ষোভের বিষয়গুলি সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্প আধিকারিকের নজরে আনা হবে।