‘সুপুষ্টি দিবসে’ উৎসবের আমেজ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে। নিজস্ব চিত্র
শাঁখ-উলুধ্বনি থেকে প্রদীপ জ্বালিয়ে কপালে ফোঁটা দিয়ে দুই খুদেকে বরণ করে নিল অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। বর্ধমানের সদর ২ ব্লকের বামুনপুকুরপাড় এলাকায় ১৬৭ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে শুক্রবার ‘সুপুষ্টি দিবস’-এ ন’মাসের মানভি বিশ্বাস ও দশ মাসের মোহিত রায়ের অন্নপ্রাশন পালন করলেন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী মৌমিতা মণ্ডল সিংহ ও সহায়িকা সবিতা দাস।
প্রতি মাসের চতুর্থ শুক্রবার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি ‘সুপুষ্টি দিবস’ পালন করে। কখনও এই দিনে এলাকার গর্ভবতীদের ‘সাধ’ পালন করা হয়। কখনও সখনও কেন্দ্রে নতুন আসা শিশুদের নিয়ে অন্নপ্রাশন উৎসব হয়। এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র এখন ২২ জন ছ’মাস থেকে ছ’বছরের শিশু রয়েছে। গর্ভবতী ও প্রসূতি রয়েছেন তিন জন। তাঁদের পুষ্টিকর খাবার দেওয়া হয়। পাশাপাশি, তিন থেকে ছ’বছরের মধ্যে শিশুদের পড়াশোনা করানো হয়। তবে এ দিন ছিল অন্য দিনের থেকে আলাদা। সকাল থেকেই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে উৎসবের আমেজ। বেলুন, ফুল দিয়ে সাজানো হয় ক্লাসরুম। মানভি ও মোহিতকেও ফুল দিয়ে সাজানো হয়। একে-একে চলে বরণ-পর্ব। তাদের মুখে তুলে দেওয়া হয় পায়েস। ভাত, ডাল, আলুভাজা, ডিম, তরকারি, মিষ্টি, আপেল, শশা সাজিয়ে খেতে দেওয়া হয়। মানভির মা সর্বাণী বিশ্বাস ও মোহিতে মা বেবি রায় বলেন, ‘‘বাড়িতে ওদের অন্নপ্রাশন হয়েছিল আগেই। কিন্তু এখানে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের প্রথম দিন যে ভাবে ওদের সাজিয়ে-গুজিয়ে মুখে-ভাতের আয়োজন করা হল, আমরা অভিভূত।’’ অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী মৌমিতা বলেন, ‘‘সুপুষ্টি দিবসে আগে এখানে গর্ভবতীদের ‘সাধ’-এর আয়োজন করা হয়েছিল। তবে অন্নপ্রাশন এই প্রথম।’’ সিডিপিও (বর্ধমান সদর ২) মৌমিতা দাস বলেন, ‘‘শিশুর ছ’মাস বয়সের পরে, মাতৃদুগ্ধের সঙ্গে পরিপূরক খাবারের প্রয়োজনে। তাই শিশুদের ভাল খাবার মুখে দিয়ে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে অন্নপ্রাশনে মধ্যে দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।