কয়েক লাখ টাকা প্রতারণার অভিযোগ। —প্রতীকী চিত্র।
ছেলেকে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার নামে কয়েক লাখ টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠল গলসিতে। প্রতারিত এক মিষ্টির দোকানের কর্মচারী থানার দ্বারস্থ হয়েছেন। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত ব্যক্তি পলাতক।
চান্না গ্রামের বাসিন্দা প্রসূন সামন্ত দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ছেলেকে ভর্তি করানোর চেষ্টা করছিলেন। তিনি কুলগড়িয়া মোড়ে একটি মিষ্টির দোকানে কাজ করেন। ছেলের কথা জানতে পেরে সেই দোকানের মালিক উজ্জ্বল হাজরা বাঁকুড়ার সোনামুখির বাসিন্দা দেবব্রত মণ্ডল নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে প্রসূনের পরিচয় করিয়ে দেন। অভিযোগ, দেবব্রত ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি করানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রসূনের থেকে দফায় দফায় কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন।
প্রসূন পুলিশকে জানিয়েছেন, দেবব্রত তাঁকে আট লক্ষ টাকা লাগবে বলে জানান। প্রথমে তিনি রাজি না হলেও পরে সোনার গয়না ও জমি বিক্রি করে ছয় লক্ষ টাকা জোগাড় করে দেন। প্রসূনের দাবি, টাকাটি তিনি দোকানের মালিক উজ্জ্বলের মাধ্যমে দিয়েছিলেন। প্রসূনের স্ত্রী কাকলি জানান, দেবব্রত কলেজে ভর্তির কাগজপত্রও দিয়েছিলেন। তবে সময় পেরিয়ে গেলেও কলেজ থেকে কোনও খবর না আসায় তাঁদের সন্দেহ হয়। তাঁরা উজ্জ্বলকে সঙ্গে নিয়ে ওই কলেজে যান এবং জানতে পারেন, ছেলের ভর্তিই হয়নি।
এর পরেই গলসি থানায় অভিযোগ জানান প্রসূন। উজ্জ্বল বলেন, “দেবব্রত আমার পূর্ব পরিচিত। তাই বিশ্বাস করে টাকাটা দিয়েছিলাম। সব টাকাই অনলাইনে দেওয়া হয়েছে।” দেবব্রতের ফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়, কিন্তু তা বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা যায়নি। মেসেজেরও উত্তর মেলেনি। পুলিশ জানায়, নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত চলছে।