মোবারক আনসারি। ফাইল চিত্র
বেআইনি ভাবে সাপের কারবার করার অভিযোগে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি জারি করল বন দফতরের দুর্গাপুর ডিভিশন। কোথাও ওই ব্যক্তিকে দেখা গেলে গ্রেফতার করে বন দফতরের হাতে তুলে দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে পশ্চিম বর্ধমান জেলার বিভিন্ন থানাকে। মোবারক আনসারি নামে ওই ব্যক্তি অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার হিরাপুর থানার রহমতনগরে একটি পূর্ণবয়স্ক কেউটে দেখতে পান বাসিন্দারা। অভিযোগ, খবর পেয়েই সেখানে পৌঁছন ঝাড়খণ্ডের পাঞ্চেত এলাকার বাসিন্দা মোবারক। তিনি সাপটি ধরে নিয়ে যান। খবর পেয়ে বন দফতরের কর্মী-আধিকারিকেরা ধাওয়া করেন। কিন্তু ঝাড়খণ্ডে ঢুকে যাওয়ায় মোবারককে ধরা যায়নি বলে জানান তাঁরা।
দুর্গাপুরের বনাধিকারিক মিলনকান্তি মণ্ডল বলেন, ‘‘মোবারক আনসারি সাপের বিষের আন্তর্জাতিক পাচারকারী। তিনি বন্যপ্রাণ আইন বিরোধী কাজ করছেন।’’ মিলনবাবু আরও জানান, জেলার সমস্ত থানায় ওই ব্যক্তির ছবি-সহ সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে বাসিন্দাদের কাছে তাঁর আর্জি, সাপ ধরার প্রয়োজন হলে যেন বন দফতরকে খবর দেওয়া হয়। বনকর্মীরা সাপ ধরার ব্যবস্থা করবেন। কোনও ভাবেই যেন মোবারকের সঙ্গে যোগাযোগ না করা হয়। মোবারকের কাজে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন পশ্চিম বর্ধমানে বন্যপ্রাণ রক্ষায় যুক্ত নানা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যেরাও। তাঁরাও সাপের বিষের অবৈধ কারবারিদের গ্রেফতারের দাবি তুলেছেন।
যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন মোবারক। শনিবার ফোনে তিনি দাবি করেন, কোনও বেআইনি কাজের সঙ্গে তিনি জড়িত নন। সামাজিক কাজ করতেই তিনি খবর পেলে এলাকায় গিয়ে সাপ উদ্ধার করে জঙ্গলে ছেড়ে দেন। মোবারকের বক্তব্য, ‘‘যদি বন দফতর প্রমাণ করতে পারে আমি সাপের বিষের অবৈধ করবারি, তবে আমাকে গ্রেফতার করা হোক।’’ তিনি পাল্টা অভিযোগ করেন, আসানসোল-দুর্গাপুরের বাসিন্দারা লোকালয়ে ঢুকে যাওয়া সাপ ধরার জন্য বন দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করেও সাড়া পান না। তাই তাঁরা তাঁকে খবর দেন।