Corruption

ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন দোতলা বাড়ির মালিক, নালিশ

বিজেপির অভিযোগ, ক্ষতিপূরণ প্রাপকদের তালিকা নিয়ে দুর্নীতি করা হয়েছে। তৃণমূলের দাবি, স্বচ্ছ ভাবেই ব্লক প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ভাতার শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৪:২৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

দোতলা বাড়ির মালিকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঘূর্ণিঝড় আমপানে ক্ষতির টাকা ঢুকেছে, অথচ, মাটির বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সরকারের টাকা তাঁদের ঘরে ঢোকেনি— বুধবার বিকেলে বিডিও (ভাতার)-র কাছে এমনই অভিযোগ জানালেন মাহাচান্দা পঞ্চায়েতের পারহাটের গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা।

Advertisement

বিজেপির অভিযোগ, ক্ষতিপূরণ প্রাপকদের তালিকা নিয়ে দুর্নীতি করা হয়েছে। তৃণমূলের দাবি, স্বচ্ছ ভাবেই ব্লক প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করেছে। সেখানে জনপ্রতিনিধিদের কোনও ভূমিকা নেই। তালিকা প্রকাশ্যে টাঙিয়েও দেওয়া হয়েছিল।

পারহাট গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, তাঁদের কাঁচা বাড়িগুলি ঝড়ে নষ্ট হয়েছে। মাহাচান্দা পঞ্চায়েতে ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন জানাতে গেলেও তা নেওয়া হয়নি, দাবি তাঁদের। পরে ব্লক অফিসে ওই আবেদন জমা দিলেও ক্ষতিপূরণ প্রাপকদের তালিকায় তাঁদের নাম নেই। অথচ, ওই গ্রামেরই দোতলা পাকা বাড়ির মালিক শম্ভু ঘোষ ক্ষতিপূরণের ২০ হাজার টাকা পেয়েছেন, দাবি অভিযোগকারী বিকাশ মাঝি, শান্তিরাম ঘোষদের। তাঁরা জানান, শম্ভুবাবু এলাকায় তৃণমূলের প্রভাবশালী সমর্থক বলেই পরিচিত। অভিযোগকারী সন্ধ্যারানি মাঝি, দেবেন দাসদের দাবি, ‘‘শম্ভুবাবুর বাড়ির কোনও ক্ষতি হয়নি। অথচ, তিনি ক্ষতিপূরণ পেয়ে গেলেন। এতেই বোঝা যাচ্ছে, প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা বঞ্চিত হয়েছেন। আমরা অনিয়মের প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’’

Advertisement

স্থানীয় সূত্রের দাবি, শম্ভুবাবুর দোতলা বাড়ি লাগোয়া একটি চালাঘর রয়েছে। সেখানে ধান ঝাড়াই যন্ত্র, খড় কাটার যন্ত্র থাকে। আমপানে ওই চালাঘরটির সম্পূর্ণ ক্ষতি দেখিয়ে ওই তৃণমূল সমর্থককে টাকা পাইয়ে দেওয়া হয়েছে, অভিযোগ তাঁদের। শম্ভুবাবু বলেন, ‘‘আমপানে আমার দোতলা বাড়ির ক্ষতি হয়নি ঠিকই, কিন্তু চালাঘরটির ক্ষতি হয়েছে। তা হলে ক্ষতিপূরণ পাব না কেন? আমি যোগ্য বলেই ক্ষতিপূরণ দিয়েছে সরকার।’’

ওই পঞ্চায়েতের বিজেপি নেত্রী সুচিস্মিতা হাটির অভিযোগ, ‘‘আমপানের দুর্নীতি ধামাচাপা দিতে রাজ্য সরকার নানা রকম ফন্দিফিকির বের করেছিল। কিন্তু দুর্নীতির জল চুঁইয়ে হলেও বার হচ্ছে।’’ এলাকার তৃণমূলের নেতা তথা ভাতার পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি সুমন্ত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘তদন্তকারীরা গিয়ে দেখেছিলেন, চালাঘরে বড় গাছ পড়ে লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। তাঁদের কাছে শম্ভুবাবু দাবি করেছিলেন, তাঁরা দুই ভাই। তিনি চালাঘরে থাকেন। সে কারণেই ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন।’’ বিষয়টি নিয়ে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন বিডিও (ভাতার) শুভ্র চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement